Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা নিরপেক্ষ অবস্থান মেনে চলি : মোমেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৪৯ এএম

ভারত ও চীনের বিরোধের মধ্যেও দুদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ অবস্থান মেনে চলি। ভারত ও চীনের মধ্যে সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে তাদের চলতে দিন। আমরা এক্ষেত্রে কোনো হস্তক্ষেপ করি না।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিস আয়োজিত কথোপকথনে যোগ দেন ওয়াশিংটন সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। প্রতিবেশী বড় দুদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রাখার বিষয়ে উপস্থাপক, কূটনীতিক তেরেসিতা শ্যাফার জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। স্থলসীমান্তসহ দুদেশের বিরোধগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।

‘আমাদের দেশকে উন্নত করা প্রয়োজন। কিন্তু ভারতের কাছে প্রতিবেশীদের দেওয়ার মতো অত বেশি সম্পদ এখনো নেই।’

চীনের উন্নয়ন সহযোগিতা নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘তারা টাকার থলেসহ সাশ্রয়ী ও আগ্রাসী প্রস্তাব নিয়ে আসে। খুব দূরদর্শিতাসহ এই ঋণ গ্রহণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

‘আমরা তাদের থেকে সহযোগিতা নিই এবং তারা আমাদের মেগা প্রকল্পগুলোর কয়েকটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।’

উন্নয়ন সহযোগিতা নেওয়ার বাইরে দুদেশের অন্যান্য বিষয় বাংলাদেশ প্রভাবিত করে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়নযাত্রার সাথে চীনকে যুক্ত করি এবং এতে আমরা ঠিকই আছি।’

‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইস্যুতে আমাদের অবস্থান তারাও জানে; এই মূলনীতিতে আমরা কোনো ছাড় দিই না। তবে, উন্নয়নের বিষয় যখন আসে… এমনকি ভারতও চীনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা। যদিও তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক নেই, তবুও তারা অর্থ ধার করে।’

ইউক্রেইন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার কারণও জানতে চান উপস্থাপক তেরেসিতা শ্যাফার। এ বিষয়ে মোমেন বলেন, প্রথম প্রস্তাবটা ছিল অনেকটা ‘ব্লেইম গেম’। এ কারণে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে।

‘এরপর মানবিক বিষয় উঠায় আমরা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছি। এটা আমাদের মৌলিক নীতি। যেখানে মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়, আমরা সেখানে এগিয়ে যাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সোমবারের আলোচনায় র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারে ছিল বলে জানান মোমেন।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছি প্রতিষ্ঠান হিসাবে র‌্যাবের উপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার জন্য। কারণ, এর ফলে তরুণরা এই প্রতিষ্ঠানে আসার আগ্রহ হারাবে এবং সরকারের সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। কারণ আমি মনে করি, নিষেধাজ্ঞাটি যথাযথ হয়নি।’
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মার্কিন বিনিয়োগ আহ্বান করে আলোচনায় মোমেন বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে বিনিয়োগ করে, তাহলে এর মাধ্যমে আমাদের অবাধ, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং চলাচলে বাধাহীন ইন্দো-প্যাসিফিক অর্জনের লক্ষ্য নিশ্চিত হতে পারে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ