পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র কুরআন মাজিদের ইরশাদ হয়েছে, ‘রামাযান মাস, যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাসে উপস্থিত হবে, সে যেন এতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে সে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান এবং কঠিন করতে চান না। আর যাতে তোমরা নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করে নিতে পার এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দান করেছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা বাকারা আয়াত: ১৮৫)। আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা রামাযান মাসে কুরআনুল কারীম নাযিল করে এ মাসের সম্মান ও মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন: ‘আমি কুরআন নাযিল করেছি কদরের রাতে’। (সূরাতুল ক্বদর আয়াত ১) আল্লাহ আরো বলেছেন, ‘আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রজনীতে। (সূরা দুখান আয়াত: ৩)
রমাযান মাসের সওম ফরজ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : রামাযান মাসে যে ব্যক্তি নিজ বাড়ীতে অবস্থান করবে, মুসাফির হবে না এবং সুস্থ-সবল থাকবে পীড়িত হবে না, তাকে অবশ্যই সিয়াম পালন করতে হবে। পূর্বে সিয়াম পালন না করার অনুমতি ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে আয়াতের আরো একটি অংশ অবতরণের পর আর অনুমতি রইল না। তবে রুগ্ন ব্যক্তি ও মুসাফিরের জন্য সিয়াম ছেড়ে দেয়ার অনুমতি বহাল রয়েছে। এদের জন্য বলা হয়েছে যে, এরা এই সময় সিয়াম পালন না করে পরে আদা করে নিবে।
রামাযান মাসের মর্যাদার অন্যতম বিষয়সমূহের মধ্যে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যে, এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
আবূ হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেছেন : ‘যখন রামাযান মাসের প্রথম রাত আগমন করে তখন শয়তান ও অবাধ্য জিনদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও খোলা হয় না। আর জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ রাখা হয় না। এ সময় একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলেন, হে পূণ্য অন্বেষণকারী! সামনে অগ্রসর হও। আর হে মন্দের অন্বেষণকারী! থেমে যাও। মহান আল্লাহ এ পবিত্র মাসে অনেককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর এটা প্রতিরাতেই সংঘঠিত হয়ে থাকে। (জামে‘ আত-তিরমিযী হা: ৬৮২)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।