নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ডারবান টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। লজ্জার হারের পর মুমিনুল হক অভিযোগ করলেন, মাঠে তাদেরকে বাজেভাবে গালাগাল করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। মাঠের আম্পায়াররা সেদিকে ঠিকভাবে নজর দেননি বলেও দাবি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
টেস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়ে প্রবলভাবে। ৭ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করলেও তারা টিকতে পারে স্রেফ ৫৫ মিনিট। কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার দুই প্রান্ত থেকে বোলিং করে শেষ করে দেন বাংলাদেশের ইনিংস। ৫৩ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ২২০ রানে।
বাজে ব্যাটিংয়ে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, মাঠে বাজে “স্লেজিং তো হয় মাঠে। স্লেজিং হবে, এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং যদি মাঝেমাঝে অ্যাবিউসের কাছে চলে যায়, তখন এটা খুব খারাপ। আমার কাছে মনে হয়, ওরা অ্যাবিউস করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ারও জিনিসগুলো আমার কাছে মনে হয়… ওইভাবে ওদের নোটিশ করেনি।’
কোন মাত্রায় ‘অ্যাবিউস’করা হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন,‘এগুলো শেয়ার করা যাবে না। আম্পায়াররা হয়তো ওভাবে খেয়াল করেননি।’
মুমিনুলের তোলা অ্যাবিউসের অভিযোগ নিয়েই শুধু নয়, ডারবান টেস্টের দুই দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে আলোচনা চলছিল আগে থেকেই। বিশেষ করে চতুর্থ দিনে আম্পায়ারদের প্রায় সবকটি ‘ক্লোজ কল’দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান টুইট করে আইসিসিকে বলেন নিরপেক্ষ আম্পায়ার আবার ফেরত আনতে।
পরে দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। এবার মুমিনুলের কণ্ঠেও সেই একই সুর। বাংলাদেশ অধিনায়ক সরাসরিই বললেন, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত স্বাগতিকদের পক্ষে গেছে। ‘আম্পায়ারিং আমাদের হাতে নেই। তবে আমার মনে হয়, আইসিসির এখন এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। নিরপেক্ষ আম্পায়ার আবার নিয়ে আসা উচিত, কোভিডের আগে যে পরিস্থিতি ছিল। এখন তো কোভিড মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। আইসিসির এগুলো খেয়াল রাখা উচিত।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘শুধু এই সিরিজেই নয়, অন্য সিরিজেও কিন্তু এরকম হয়েছে যে আম্পায়াররা ওই দলের পক্ষে (স্বাগতিক) সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। এগুলো আমরা এই সিরিজেও দেখেছি, আগের সিরিজেও দেখেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।