মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডিজিটাল দুনিয়ায় ধুঁকছে গ্রন্থাগার সংস্কৃতি! তারপরও গ্রন্থপ্রিয় মানুষের কাছে বইয়ের কদর আজও আলাদা। ফলে গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়তে গিয়ে দেরি করে ফেরত দেওয়ার ঘটনাও ঘটে হামেশাই। সেক্ষেত্রে মোটা জরিমানাও হয়। কিন্তু প্রায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা!
বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছে লন্ডনের একটি গ্রন্থাগারে। গ্রাহকের বই ফেরত না দেওয়ার সময়কাল বিরাট। মাঝের সময়ে দুই প্রজন্ম জন্মে যুবক হয়ে গেছে! তার মানে কত বছর? প্রায় অর্ধশতক। হ্যাঁ, ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে প্রায় ৪৮ বছর পরে তা ফেরালেন এক গ্রাহক।
এ ঘটনায় শোরগোল পড়েছে লন্ডন শহরে। জানা গেছে গত শতাব্দীর সত্তর দশকে ১৯৭৪ সালের গ্রীষ্ম মৌসুমে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন গ্রন্থাগার থেকে ওই বইটি নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি ফেরত দিয়েছেন। তাতেই ওই ব্যক্তিকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বড় অঙ্কের জরিমানা কেন? আসলে বইটি ফেরত না দেওয়ায় প্রতিদিন ১৩ সেন্ট করে জরিমানা হয় গ্রাহকের। অর্ধশতকে যার মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ টাকা। সবার কৌতূহল সেই বইটি কী যার জন্য লক্ষাধিক টাকা গুনতে হল জনৈক গ্রাহককে। গ্রাহকই বা কে? গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বইটি একটি রোমান কমেডি। যা ল্যাটিন ভাষায় লেখা। অজ্ঞাতনামা লেখকের রোমান নাটক।
আর মহান গ্রাহকের পরিচয়? গত বুধবার ইউসিএল তাদের ওয়েবসাইটে বইটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বইয়ের ছবিও দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, বইটি চলতি বছর কুরিয়ারে লাইব্রেরিতে এসেছে। বইয়ের গ্রাহক একটি চিরকুটও পাঠিয়েছেন। তবে সেখানে নিজের নাম-পরিচয় উল্লেখ করেননি তিনি।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রিয় লাইব্রেরিয়ান, আমি বইটি ফেরত দিতে ভয় পাচ্ছি। ফেরত দেওয়ার সময়সীমা প্রায় ৫০ বছর আগেই পার হয়েছে! আমার বিশ্বাস, এটি এখন একটি অ্যান্টিক বইয়ে পরিণত হয়েছে।’ সূত্র : বিবিসি নিউজ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।