নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দ.আফ্রিকা থেকে ভারতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকায় খেলতে পারেননি দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম ম্যাচে। অবশেষে মাঠে নেমে নিজেকে মেলে ধরলেন মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে অভিষেক দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাঙালেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।
তবে সেই ম্যাচে জিততে পারেনি তার দল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা ১৪ রানে হেরেছে। বল হাতে দিল্লির হয়ে এই ম্যাচে ওভারপ্রতি ছয়ের নিচে রান দেন কেবল তিনিই। চার ওভার বোলিং করে মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেন মুস্তাফিজ। ডট দেন ৭টি বল।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া দিল্লি অধিনায়ক রিশাব পান্ত প্রথম ওভারেই বল তুলে দেয় মুস্তাফিজের হাতে। দলকে নিরাস করেননি তিনি। তৃতীয় বলেই এনে দেন উইকেট। তার অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল স্কুপ করতে যান ম্যাথু ওয়েড। ঠিকভাবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান কিপার-ব্যাটসম্যান। বল জমা পড়ে কিপার পান্তের গ্লাভসে।
ক্যাচের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দিল্লি। আল্ট্রাএজে দেখা যায় ওয়েডের ব্যাট ছুঁয়েছে বল। পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে চার মারেন বিজয় শঙ্কর। ওই উইকেটের সঙ্গে ৭ রান দিয়ে প্রথম ওভার শেষ করেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবার মুস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। দুটি লেগ বাইসহ ৬ রানে শেষ হয় তার দ্বিতীয় ওভার। তৃতীয় স্পেলে সপ্তদশ ওভারে বল করতে এসে কোনো বাউন্ডারি হজম না করে ৯ রান দেন মুস্তাফিজ।
ইনিংসের শেষ ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভারটি করতে এসে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দেন তিনি। স্রেফ ৩ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। দ্বিতীয় বলটি মুস্তাফিজ করেন স্লোয়ার, ছক্কার চেষ্টায় আকাশে তুলে দেন রাহুল তেওয়াতিয়া। এক্সট্রা কাভারে সহজ ক্যাচ দেন শার্দুল ঠাকুর। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে তার স্লোয়ারে এবার ধরাশায়ী হন অভিনব মনোহর। স্লগ সুইপ করে কাভারে ক্যাচ দেন তিনি। গুজরাটের হয়ে দারুণ ইনিংস খেলেন শুবমান গিল। ওপেনিংয়ে নেমে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬ উইকেটে ১৭১ রানে শেষ হয় গুজরাটের ইনিংস।
তবে এই রান তাড়ায় পেরে ওঠেনি দিল্লি। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে থমকে যায় ১৫৭ রানে। ১৪ রানে হারা ম্যাচে ত্রিশ ছাড়াতে পারেন কেবল অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। ২৯ বলে ৭ চারে তিনি করেন ৪৩। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে দিল্লি। ফলে ১৪ রানে হেরেছে মোস্তাফিজের দল। ব্যাট হাতে মোস্তাফিজ অপরাজিত ৩ রান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।