রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামে বাঁশের মই দিয়ে ব্রিজে উঠে নদী পরাপারের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন জনসাধারণ। জানা যায়, উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বাজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রে খড়িয়া নদীর সংযোগ স্থলের প্রায় ৩০০ ফুট জায়গার মাঝে ১ বছর আগে মাত্র ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ফলে উভয় পাশের কিছু পানি পেরিয়ে বাঁশের মই দিয়ে ব্রিজে উঠে নদী পারাপার হতে হয়। এলাকাবাসি জানান, সিংগীমারী, রামভদ্রপুর, চরবাহাদুরপুর, চরনিয়ামত, বৈঠামারী, মহিষমারী, রেহাইতারাপুর, সেনেরচর, ডেবুয়ারচর, সিকদাপাড়া, চরবসন্তী গ্রামসহ অনেক এলাকার ছাত্রছাত্রীসহ লোকজনকে এ পথে যাতায়াত করতে হয়। নদী পারাপারের দুর্ভোগে এলাকাবাসি দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে বিশাল নদীর মাঝে একটি ছোট ব্রিজ নির্মাণের ফলে দু’পাশে বাঁশের মই দিয়ে ব্রিজে উঠে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, বড় ব্রিজের বরাদ্দ না থাকায় ছোট ব্রিজ দেয়া হয়েছে। পরে সংযুক্ত করে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। রামভদ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রোকনুজ্জামান জানান, ৩০০ ফুট জায়গার স্থলে মাত্র ৪০ ফুট ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে স্রোতে ভেসে যাবে। তাই ব্রিজটি সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। উপজেলার সিংগীমারী গ্রামের ব্যবসায়ী মতিউর রহমান জানান, ব্রিজ না থাকায় আমরা খুবই পিছিয়ে আছি। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই না। ভাল জায়গায় আত্মীয়ও করতে পারি না। রামভদ্রপুর গ্রামের মো. আদম আলী জানান, নির্মিত ব্রিজটির সাথে জোড়া লাগিয়ে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করলে কোন রকমে চলাচল করা যেতো। একই গ্রামের আবুল হোসেন মন্ডল জানান, নদী পারপার হয়ে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ রামভদ্রপুর বাজারে কেনাকাটাসহ বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করতে আসে। ব্রিজ নির্মাণে যাতায়তের সুবিধা দেখে গিয়ে মরেও শান্তি পেতাম। রামভদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রমজান আলী জানান, অধিকাংশ ছাত্রই নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে এসে থাকে। শুকনো মৌসুমে পানি পেরিয়ে আর বর্ষা মৌসুমে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।