পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এতো দিনেও যদি ওবায়দুল কাদের না জেনে থাকেন বিএনপির নেতা কে? তাহলে তাদের সরকারি দলে থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ওবায়দুল কাদরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতদিনেও যদি জেনে না থাকেন বিএনপির নেতা কে আর আন্দোলনের নেতা কে, তাদের সরকারি দলে থাকার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বিএনপি নানাভাবে বিভক্ত, বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে, আমরা জানতে চাই’। এই বিষয়ে বলতে চাই, নতুন কোনো কথা নয়। বিএনপির নেতা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার (খালেদা জিয়ার) অসুস্থতার কারণে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি তো এই কথাগুলো বলেন শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করার জন্য। আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই বিএনপি দ্বিধাবিভক্ত নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেন, এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট নতুন কোনো কথা নয়, বিএনপির নেতা এখন যিনি জীবিত আছেন তিনি হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অসুস্থতার কারণে তার অবর্তমানে আমাদের নেতা তারেক রহমান। আন্দোলনের নেতাও সেভাবে তারেক রহমান।
ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতার ‘ভুল ইতিহাস প্রচার করছে’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বলা হচ্ছে যে, একজন ব্যক্তি ও একটি দল তারা ছাড়া কেউই এই স্বাধীনতা যুদ্ধে কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না। অথচ সত্য কথা হচ্ছে এটা এই স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সেই বৃটিশ আমল থেকে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে শুরুটা, মুক্তিযুদ্ধে যে সূচনা সেটা যিনি করেছিলেন তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম-একেবারে সকলের নাম মুছে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছানোর তাগিদ দেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে সঠিক ইতিহাস চর্চার ব্যবস্থা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি ‘শহীদ জিয়ার বাংলাদেশকে জানো’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মাহবুব হাসান, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, জাকির আবু জাফর, মুস্তাহিদ ফারুকী, নাসিম আহমেদ, শিশুদের মধ্যে মো. আবরার, সামিয়া নুজহাত ও ওয়াজদিয়া উনাইছা। প্রতিযোগিতায় ৯৮ জন শিশু প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য আমিরুল ইসলাম কাগজী ও আরিফুর রহমান মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কবি আবদুল হাই শিকদার বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।