পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার দেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একটা গভীর চক্রান্ত হচ্ছে এদেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত রেখে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) রাজতন্ত্র চালাবে। সেই তথাকথিত মুজিববাদ দেশে তারা চালু করবে। কিন্তু
আমাদের কথা খুব পরিস্কার, আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, মুক্ত সমাজের জন্য। সেই মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে আজকে আবারও সকল মানুষকে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজন হলে আরো একটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দেশকে মুক্ত করতে হবে, জনগণকে মুক্ত করতে হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধবগতির প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধবগতির প্রতিবাদে এই ছাত্র সমাবেশ হয়। এতে ঢাকা উত্তর-দক্ষিন, পূর্ব-পশ্চিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তীতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, ইডেন কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, বাঙলা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের যুদ্ধ শুধুমাত্র বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসার জন্য নয়। আমাদের এই যুদ্ধ আমাদের অধিকারকে ফিরে পাওয়ার জন্য, দেশের মানুষকে তাদের মালিকানা ফিরে দেওয়ার জন্য। আমরা ভোট দিতে চাই, ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চাই। আর তারা (আওয়ামী লীগ) কখনোই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে নয়। আজকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। কেনো? জানে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা কখনো নির্বাচিত হতে পারবে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে এই সরকারকে হটাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটাই মাত্র কারণ, সেই হচ্ছে- আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের দুর্নীতি। তারা এই দুর্নীতিতে ফুলে-ফেপে উঠেছে। সোয়াবিনের তেলের দাম বাড়ছে কেনো? কারণ সোয়াবিন তেলের যারা ব্যবসা করে তার বেশিরভাগই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে কেনো? এলপিজি গ্যাস বিদেশ থেকে যে প্রতিষ্ঠানটি আমদানী করে সেটির মালিক সরকারের লোক। ঔষধের দাম বাড়ছে। স্বাস্থ্যখাত শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষামন্ত্রীর এলাকা চাঁদপুরে সেখানে জমি অধিগ্রহনের দুর্নীতি করে সেখানে ডিসি অভিযোগ করে এবং সেই দুর্নীতির কোনো বিচার হয় না। আজকে সবক্ষেত্রে সব জায়গায় সরকারের দুর্নীতি, দুর্নীতি, দুর্নীতি এবং সেই সঙ্গে তাদের অযোগ্যতা ও অদক্ষতা।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধবগতিতে মানুষের জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের একেবারে অন্তরের কথা- আমরা আর পারছি না, আমাদের পক্ষে আর জীবন-যাপন করা সম্ভব হচ্ছে না, চাল-ডাল-তেল-লবণ এই সমস্ত পণ্য, আবার বিদ্যু, গ্যাস, পানির দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছে যে, মানুষ এখন বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। তার বেঁচে থাকার ন্যূনতম যে খাবার দরকার সেটা তারা পাচ্ছে না, নিরাপত্তা দরকার সেটা তারা পাচ্ছে না। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, তাদের বেতন বাড়ছেই। এরকম একটা অবস্থা চলছে।
ছাত্র দল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই দেশে যা কিছু কল্যাণকর, যা কিছু মহত, যা কিছু সৃজনশীল কাজ হয়েছে সব কিছু এই ছাত্ররা করেছে। এখানে ছাত্র নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। আজকে জেগে উঠতে হবে, মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় সমাবেশে ছাত্রদলের সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, আমিনুর রহমান আমিন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।