পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও দেউলিয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপির) শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত, পলাতক ও দেশান্তরী। শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির দায় রাজনৈতিকভাবে বয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের প্রতিদিনের বক্তব্য-বিবৃতি রাজনীতির সব ধরনের শিষ্টাচার ও শালীনতা লঙ্ঘন করে চলছে। তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পরিপূর্ণ। যেনতেন প্রকারে বিএনপি আজ ক্ষমতা দখলে এতই উন্মত্ত যে তাদের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বিএনপি নেতাদের এ ধরনের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আজ হতাশ। একেক নেতা একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো জাতীয় সরকারের কথা বলে রাজনীতির মাঠ গরম করার ষড়যন্ত্র করছেন, যা কখনো সফল হবে না। সংবিধানসম্মতভাবে যথাসময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি ও গণতন্ত্র হত্যার জনক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে কথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনে পরিণত করেছিলেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার বিএনপি ভোটার তালিকায় এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরদিনের মতো কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হাওয়া ভবনের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখল করলেও প্রতিবারই জনরোষের কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বাঙালি বীরের জাতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে। একইভাবে আগামীতেও আওয়ামী লীগ যে কোনো মূল্যে অতীতের মতো ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।