মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রমজান মাস সন্নিকটে, চাঁদ দেখা গেলে শনিবারই রোজা রাখতে হবে ইউক্রেনের মুসলিমদের। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, এবারের রমজানটা তাদের কাছে সম্পূর্ণ আলাদা। ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সেনা অভিযান। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের মাঝে থাকা মানুষদের জীবনের সবকিছুই গেছে পাল্টে। এখন নতুন করে তাদের সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। ইউক্রেনের মুসলিমদের রোজাটাও এবার তেমন। -আল জাজিরা
নিয়ারা নিমাতোভা, ক্রিমিয়ান তাতার গোষ্ঠীর এই মানুষটা ইউক্রেনের মুসলিগের প্রধান। তিনি জানালেন, আমরা সবকিছুর সাথে নতুন করে মানিয়ে নিচ্ছি। রাশিয়ার অভিযানে বাস্তুচ্যুত হওয়া মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য ইফতারের আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন এই মুসলিম নেতা। তিনি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা জাপোরিঝিয়া থেকে ফোনে আল জাজিরাকে বলেন, অনেক মুসলিম এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে বিদেশে চলে গেছে, যারা আছেন তাদেরও সাহায্য দরকার।
রুশ সেনা অভিযানের পাঁচ সপ্তাহে ইউক্রেন বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটির মতো মানুষ। যাদের মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে, আর বাকিরা দেশের মধ্যেই হয়েছেন বাস্তুহারা। ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষ মুসলিম। যুদ্ধের আগে ইউক্রেনে ২০ হাজারের বেশি তুরস্কের মানুষ অবস্থান করছিল। এবারের রমজানটা ইউক্রেনের মুসলিমদের জন্য যেমন কঠিন, তেমন আবেগের। কারণ এবার তাদের দেশে মুহূর্মুহু বোমা পড়ছে। কারফিউ চলছে, চলাচলেও আছে নিষেধাজ্ঞা। যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ায় অনেক মুসলিমই তাদের পরিবারের সাথে ইফতারির মতো আয়োজনে অংশ নিতে পারবেন না। কেউ আছেন নিজের ঘর থেকে অনেক দূরে।
নিমাতেভা বলেছেন, আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পেতে সর্বোচ্চ করতে প্রস্তুত আছি। আমরা আমাদের পরিবার, আত্মা, দেশ ও ইউক্রেনের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া রুশ অধিকারে চলে যায় তখন নিজের এলাকা ছেড়ে নিমাতোভা জাপোরিঝিয়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ক্রিমিয়ায় বাস করতাম, কখনও ভাবিনি একদিন আমাদের এই এলাকা ছাড়তে হবে।
নিমোতোভা আরও বলেছেন, জাপোরিঝিয়ায় বিভিন্ন কমিউনিটির মুসলিমরা আছেন। বিভিন্ন দেশের মুসলিম আছেন। তারা সবাই তাদের মতো করে রমজানের খাবারের প্রস্তুতি নেন। একদিন আমরা ভারতীয় বিরিয়ানি খাই, আরেকদিন খাই ফিলিস্তিনের মানতসেভ, অন্যদিন উজবেক প্লোভ। তবে যুদ্ধে সেই সম্মিলিত আয়োজনেও এবার ভাটা পড়েছে, চারিদিকে অনিশ্চয়তা। তিনি বলেন, এখন আমরা সাইরেন শুনলেই লুকিয়ে পড়ি। আমরা জানি না কাল কী ঘটবে। এটা কঠিন মানসিক অবস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।