Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন দূতকে তলব : ‘হুমকির চিঠি’ বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২২, ৪:৩৫ পিএম

চিঠিতে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষা ব্যবহার করায় ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানকে তলব করেছে পাকিস্তান। আজ (শুক্রবার) পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশন জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির বিষয়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির (এনএসসি) বৈঠক হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকির’ বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নিল ইসলামাবাদ। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের।
ইসলামাবাদের মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানোর আগে চিঠির বিষয়টি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও মন্ত্রিপরিষদকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। এই ভাষণে চিঠির বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি ‘মুখ ফসকে’ যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলে দেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা তিনি শুধরে নেন। পরে বলেন, একটি বিদেশি রাষ্ট্র হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, যা পাকিস্তানবিরোধী।
ভাষণে ইমরান আরও বলেন, তিনি কোনোভাবেই পদত্যাগ করবেন না। চলমান ষড়যন্ত্রকে কখনো সফল হতে দেবেন না।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হুমকির চিঠির বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে উপযুক্ত প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, হুমকির চিঠিতে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষা ব্যবহার করায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। মার্কিন দূতকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারও হস্তক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করে। এ হামলার মধ্যেই মস্কো সফর করেছিলেন ইমরান। এ প্রসঙ্গে ভাষণে ইমরান বলেন, ‘তারা কেন হুমকি দিচ্ছে, তার কোনো কারণ দেখাচ্ছে না।
তারা শুধু বলছে, ইমরান খান রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। তারা এই একটা বিষয়কে ইস্যু করে হুমকি দিচ্ছে। অথচ এই সিদ্ধান্ত আমি একা নেইনি। এ বিষয়ে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল।’
আমেরিকার দিকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান আরো বলেন, তারা আগেই জানত অনাস্থা ভোট হবে। অথচ তখনো অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। এর অর্থ হলো বিরোধীরা বিদেশের এসব মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁরা পাকিস্তানের ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁরা অজুহাত তৈরি করছে। তাঁরা বলছে, তাঁরা পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেবে যদি অনাস্থা ভোটে ইমরান খান হেরে যান। কিন্তু যদি এই পদক্ষেপ ব্যর্থ হয় তাহলে পাকিস্তানকে কঠিন সময় পার করতে হবে।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৪ ধারার অধীনে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোটের জন্য জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব জমা দেয়। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ এবং এটিতে ভোটের জন্য আইনসভা অধিবেশনের অনুরোধ করার একদিন আগে আমেরিকার হুমকির চিঠিটি পাঠানো হয়।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু-এর সাথে বৈঠকের ভিত্তিতে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ