স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো কিছু করবে না, কাউকে করতেও দেবে না।

তিনি আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ২৫ মার্চ গণহত্যা এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রণীত বৈদেশিক নীতির ভিত্তিতেই বাংলাদেশ বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সকল দেশের অবদান ছিল সে সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। এটার মানে এই নয় যে, আমরা আমাদের দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেব।

তিনি বলেন, বিএনপি কথায় কথায় বলে, আমরা নাকি দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছি। দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছি। ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ পরিপন্থী কি, কি কাজ করেছে বিএনপির সাহস থাকলে তার একটি তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করুক।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগামে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ যারা করে, তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে। তারা সকলেই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সর্বদা নিয়োজিত। দেশ বিরোধী কর্মকান্ড আওয়ামী লীগকে দিয়ে কখনোই সম্ভব নয়।

বিএনপিকে ইংগিত করে তিনি বলেন, কারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে। দেশের সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিতে চায়, দেশের মানুষ তাদের ভালো করেই চেনে এবং জানে।

মন্ত্রী বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে বিতর্কিত করার জন্য একটি দল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই দল কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না। তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

মন্ত্রী জানান, বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য আইন প্রণয়ন করার দাবী জানিয়েছিল। কেন আইন করা হয় না, তা নিয়ে তারা গলাবাজিও কম করেনি। সকলের মতামত নিয়ে যখন আইন পাশ করা হলো, তখন সেই আইনের বিরুদ্ধে তারা কথা বলা শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আবার নতুন করে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের কথা বলছেন। বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. নেছার আহাম্মদ ভূঁঞা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

এছাড়াও সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।