নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আফ্রিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মিশরকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সেনেগাল। কিন্তু সেনেগালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে মিশর। সেনেগালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও টিম বাসে হামলার অভিযোগ এনেছে মিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইএফএ)। টাইব্রেকারের সময় মিশরের ফুটবলারদের চোখেমুখে বারবার লেজার রশ্মি ফেলতে থাকেন স্বাগতিক সেনেগালের দর্শকরা। তাতে পেনাল্টি শ্যুট আউটে গোল করতে ব্যর্থ হন মিশরের সবচেয়ে বড় তারকা সালাহও। বল পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন তিনি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ শেষে সেনেগালের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করে মিশর। যেখানে তারা দাবি করেছে, মিশরীয় দল বর্ণবাদের শিকার হয়েছিল এবং খেলোয়াড়দের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। এর চেয়েও গুরুতর কাজ করেছে সেনেগাল সমর্থকরা। পেনাল্টি শ্যুটআউটের সময় মিশরের খেলোয়াড়দের চোখ লক্ষ্য করে লেজার রশ্মি মারা হয়।। হামলা করেছে মিশরের টিম বাসেও।
এক বিবৃতিতে ইএফএ জানিয়েছে, তারা সেনেগালের বিরুদ্ধে ফিফা, কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল (সিএফএ), ম্যাচ পর্যবেক্ষক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। বিবৃতিতে ইএফএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মিশরীয় খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে মোহাম্মদ সালাহকে লক্ষ্য করে স্ট্যান্ডে আক্রমণাত্মক ব্যানার দেখানোর পরে মিশরীয় দলকে বর্ণবাদের কটুক্তি করা হয়েছিল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এছাড়াও সেনেগালের ভক্তরা ওয়ার্ম-আপের সময় মিশরীয় খেলোয়াড়দের বোতল ও পাথর ছুড়ে ভয় দেখিয়েছিল। সেইসাথে মিশরীয় টিম বাসে আক্রমণ করেছিল। যার ফলে বাসের কাঁচ ভেঙে যায় এবং কিছু মানুষ আহত হয়েছিল।’ অভিযোগের সাথে ছবি এবং ভিডিও সংযুক্ত করে দিয়েছিল মিশরীয় ফুটবল ফেডারেশন। এছাড়া তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট করেছে। সেখানে টিম বাসের ক্ষতির ছবি ও সালাহকে নির্দেশ করে আক্রমণাত্মক ব্যানারের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
মিশরের অভিযোগের ভিত্তিতে সেনেগালিজ ফেডারেশনের সভাপতি অগাস্টিন সেনঘর জানিয়েছেন এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং প্রথম। তিনি ঘটনার বিষয়ে অফিসিয়াল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবেন। তিনি আরও বলেন বলেন, ‘আমি স্ট্যান্ড মনোযোগ দেইনি। যদি এটা ঘটে থাকে তবে সেনেগালে এই প্রথম। তবে আমরা জানি যে কায়রোতে এইগুলো প্রচুর ছিল। সেনেগাল এতে অভ্যস্ত নয়। আমি খেলার সময় এমন কিছু দেখতে পাইনি যা অরাজকতা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে কারণ সেনেগালিরা খুবই অতিথিপরায়ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।