পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে দুই বছরের শিশু সন্তানের সামনে আমেনা বেগমকে (২৫) হত্যার ঘটনায় তার স্বামী মো. রাসেলকে (৩০) গ্রেফতার করেছে সিআইডি। অন্যদিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হেকমত আলী (৬২) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে সিআইডি। গত ২০ মার্চ রাতে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে মাসুদ মিয়া (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। গতকাল বুধবার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গত ২৫ মার্চ দিনগত রাতে আমেনাকে হত্যার ঘটনার পরপরই সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে তার স্বামী রাসেলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাসেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, প্রায় তিন বছর আগে চট্টগ্রাম এলাকায় বসবাসকালে আমেনার সঙ্গে রাসেলের পরিচয় হয়। এরপর উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই বছর বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। এতদিন তারা টাঙ্গাইল শহরে ভাড়া করা বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ও রাসেল রিকশা চালাতেন। আয় উপার্জন কমে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় এবং নেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় রাসেল তার স্ত্রী আমেনাকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতেন। বিষয়টি আমেনা তার বাবা জামালকে জানালে সীতাকুন্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার পরামর্শ দেন। হত্যার ১৫ দিন আগে সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়াতে ৮০০ টাকা মাসিক ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। রাসেলের শ্বশুরও তাদের কাছাকাছি থাকতেন।
তিনি বলেন, সীতা সুবেদার রোলিং মিল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে রাসেল কাটারম্যান হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। পাশাপাশি সীতাকুন্ড থেকে তিনি তার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নেয়া শুরু করেন। ২৫ মার্চ রাতে কলহের জেরে শিশু সন্তানের সামনে আমেনাকে গলাটিপে হত্যা করেন রাসেল। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশ ঘরের ভেতর রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে।
চিনে ফেলায় খুনঃ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হেকমত আলী (৬২) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে সিআইডি। গত ২০ মার্চ রাতে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে মাসুদ মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি বলছে, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে মাসুদকে চাপ দেন হেকমত আলী। এতে অপমানিত বোধ করে হেকমত আলীর দোকান লুটের পরিকল্পনা করেন মাসুদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী লুটের সময় মাসুদ মিয়াকে চিনে ফেলায় হেকমত আলীকে হত্যা করা হয়।
তিনি জানান, গত ২০ মার্চ দুর্গাপুর এলাকার হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে মুদি ও জ্বালানি তেলের দোকানের মালিক হেকমত আলীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় আসামি মাসুদ মিয়াকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার মাসুদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, মাসুদ পেশায় একজন ট্রাকচালক। মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে ট্রাক চালাতেন, কিন্তু হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন মাসুদ। এজন্য তিনি হেকমত আলীর পাওনা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক হেকমত আলী পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য অনেক মানুষের উপস্থিতিতে মাসুদ মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি অপমানিতবোধ করেন। এরপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার দোকানে লুটের পরিকল্পনা করেন মাসুদ। হত্যার পরে মাসুদসহ তার সঙ্গীরা দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ দশ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।