বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। নৌকায় সবসময় বেশি মানুষ নিতে নেই। নৌকায় বেশি মানুষ নিলে নৌকা বিপদাপন্ন হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণসংগঠন, কোনো বদ্ধ জলাশয় নয়। আমাদের দলে যে কেউ যোগ দিতে পারে, তবে যে কাউকে আমরা নিতে পারি না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারাই আওয়ামী লীগকে যুগে যুগে টিকিয়ে রেখেছে। অনেক নেতা বিভিন্ন সময় ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের সাথে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হননি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনও মূল নেতৃত্বকে ছেড়ে যাননি।
তিনি বলেন, যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য, অর্থবিত্ত অর্জনের জন্য, অবৈধ সম্পদ রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগে আসতে চায়, তাদের দরকার নেই। যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বাস করে তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগে আসতে পারে। কিন্তু যারা জায়গা দখল ও মাদক কারবারে যুক্ত, তাদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ প্রমুখ।
সন্ধ্যার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ বেতারের আয়োজনে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারী প্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে সেটা সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটা অনন্য উদাহারণ। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। গত ১৩ বছরে নারীর যেভাবে ক্ষমতায়ন হয়েছে, মাতৃ মৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার যেভাবে কমেছে বাংলাদেশে, এটা সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটা উদাহারণ। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার এবং প্রসূতি মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম।
ড. হাছান বলেন, সমস্ত মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা ভারত পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়েছি। এটার অন্যতম প্রধান কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমাদের সরকার নারী ও শিশু উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্বারোপ করেছে। বিধায় এটি সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- যুগ্ম সচিব মো. আনছার আলী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও ইফতেখার ইউনুস প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।