মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৯ সালে অবৈধভাবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে অনেকেই অধিকৃত কাশ্মীরে জমি কিনতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেখানে জমি অথবা বাড়ি কেনা অনেকের কাছে যেন স্বপ্নের মতই। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরে জমি কেনার কথা কেউ ভাবতেই পারতেন না।
এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে অনুসারে অধিকৃত জম্মু কাশ্মীরের বাইরে থেকে সেখানে জমি কিনেছে ৩৪ জন। মঙ্গলবার লোকসভায় এমনই জানানো হল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর মোট ৩৪ জন জমি ও সম্পদ কিনেছেন জম্মু ও কাশ্মীরে।
তিনি বলেন, “জম্মু কাশ্মীর সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ৩৪ জন ব্যক্তি জম্মু কাশ্মীরের বাইরে থেকে ভূস্বর্গে জমি কিনেছেন, যে সব অঞ্চলকে জমি কেনার জন্য মানুষ বেছে নিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে জম্মু, রিয়াসি, উধমপুর এবং গণ্ডেরবাল জেলা।”
জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রে খবর, মূলত পাঞ্জাব এবং দিল্লির ব্যবসায়ীরাই এই সমস্ত অঞ্চলে জমি কিনেছেন। সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে সেই সকল প্লট খুব একটা বড় নয়। মূলত গেস্ট হাউস, এবং হলিডে হোম গড়ে তোলার জন্যই সেই সব জমি কেনা হয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে এই অঞ্চলের জমির দাম আকাশছোঁয়া। আগে যে জমি ৩ লাখ রুপি প্রতি কাটায় বিক্রি হত এখন সেই জমির দাম ১৮ লাখ রুপি প্রতি কাটা। অনেকেই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখন বিনিয়োগ করছেন। তাছাড়া ভূস্বর্গে শান্তি ফিরে এসেছে ফলে অনেকেই এই অঞ্চলে থাকার জন্য বিশেষ ভাবে আগ্রহী।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ‘২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে মোট ৭ টি প্লট বাইরের অঞ্চলের মানুষ কিনেছেন, যার মধ্যে সবকটি জম্মু অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত’। ২০২০ সালের অক্টোবরে, কেন্দ্র জম্মু কাশ্মীরের-নতুন ভূমি আইন প্রণয়ন করেছে সেই আইন অনুসারে বলা হয়েছে ভূস্বর্গে জমি কিনতে বাইরের অঞ্চলের মানুষের আর কোন বাঁধা থাকবে না। তবে নতুন সংশোধনীগুলি অবশ্য লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রযোজ্য নয়। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।