নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা মহাযজ্ঞ! সেই ২০১৯ সালের ৬ জুন শুরু হয়েছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। এশিয়ান অঞ্চলের দুই পুঁচকে দল মঙ্গোলিয়া ও ব্রুনেই দারুসসালামের ম্যাচের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়ানো বাছাইপর্ব প্রায় তিন বছর আর হাজারো ম্যাচের পরও এখনো শেষ হয়নি। তবে একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। বিশ্বকাপের মূল পর্বে সুযোগ পাবে ৩২টি দল, এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে ২০ দলের। আরও ১২টি দল জায়গা করে নেওয়ার অপেক্ষায়।
উত্তর আমেরিকা থেকে কানাডা ৩৬ বছর পর উঠলেও বিস্ময় জাগিয়ে ইউরোপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ে গেছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্সের মতো দলগুলোর বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ইতালি বাদ পড়ায় পর্তুগালের এখন শুধু মেসিডোনিয়ার বাধা পার করলেই বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে। এরই মধ্যে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন গতরাতে হওয়া ম্যাচটির ভাগ্য। মানের সেনেগাল বনাম সালাহর মিসরের লড়াইও রোমাঞ্চ জাগাচ্ছে।
আর দুই দিন বাকি থাকা এই মার্চ মাস শেষ হতে হতেই আরও নয়টি দলের জায়গা পাকা হয়ে যাবে। বাকি থাকবে তিনটি দল। আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ আর স্থগিত হয়ে থাকা উয়েফার ম্যাচ থেকে সেই তিন দল নিশ্চিত হবে জুনে। তবে তার আগে আগামী ১ এপ্রিলই হয়ে যাবে বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্বের ড্র। আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় কাতারের দোহায় বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এশিয়া মহাদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। এবার আয়োজক কাতার। আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর। এর আগে একবারই এশিয়ায় হয়েছিল বিশ্বকাপ। ২০০২ সালে ফুটবলের মহাযজ্ঞ যৌথভাবে আয়োজন করেছিল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশাল এই মহাযজ্ঞ শেষে এখন পর্যন্ত কারা কাতার বিশ্বকাপে জায়গা পেল, কারা এখনো জায়গা করে নিতে পারে।
শুক্রবার রাতে যখন ড্র অনুষ্ঠিত হবে, ততক্ষণে ২৯টি দলের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। বাকি থাকবে ইউরোপ অঞ্চলের একটি প্লে-অফ ও দুটি আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ ম্যাচ। ড্র’র নিয়ম অনুযায়ী ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে চারটি পটে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলকে ভাগ করা হবে। স্বাগতিক কাতার থাকবে এক নম্বর পটের প্রথম স্থানটিতে। অর্থাৎ বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রæপের এক নম্বর দল হবে তারা। এই পটে তাদের সঙ্গী হবে র্যাঙ্কিং অনুসারে শীর্ষ সাত দল। প্রতিটি পটের একটি করে দল জায়গা পাবে ‘এ’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত আটটি গ্রæপে। এক নম্বর পট খালি হওয়ার পর যথাক্রমে দুই, তিন ও চার নম্বর পট থেকে দলগুলোকে বেছে নেওয়া হবে।
নিয়মেও এবার এসেছে ভিন্নতা। ইউরোপ বাদে বাকি মহাদেশগুলোর একাধিক দল থাকতে পারবে না একই গ্রæপে। তবে প্রত্যেক গ্রæপে ইউরোপের অন্তত একটি অথবা সর্বোচ্চ দুইটি দলকে রাখতে হবে। প্রতিটি মহাদেশের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ থাকে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে জায়গা বরাদ্দ করা হয়, তা চালু করা হয়েছিল ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত আসর থেকে।
আয়োজক বাদে ইউরোপ থেকে ১৩টি, আফ্রিকা থেকে পাঁচটি, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে চারটি, এশিয়া থেকে চারটি ও উত্তর আমেরিকা থেকে তিনটি দল বাছাইপর্বের মাধ্যমে সরাসরি অথবা নিজ মহাদেশে প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপের টিকিট পায়। বাকি দুটি দল নির্ধারিত হয় আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের মাধ্যমে। এবার এশিয়ার একটি দল মুখোমুখি হবে উত্তর আমেরিকার একটি দলের, দক্ষিণ আমেরিকার একটি দল লড়বে ওশেনিয়ার একটি দলের সঙ্গে।
বিশ্বকাপের বিশ দল
স্বাগতিক : কাতার (সরাসরি)।
ইউরোপ : ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ড।
দক্ষিণ আমেরিকা : আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে।
এশিয়া : দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, জাপান ও সউদী আরব।
উত্তর আমেরিকা : কানাডা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।