নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মার্চের ফিফা উইন্ডোতে আর জয়ের দেখা পেল না বাংলাদেশ। মালেতে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের পর এবার ঘরের মাঠে গোল মিসের মহড়ায় মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। গতকাল বিকালে ১৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। ঠিক ২১ বছর আগে ২০০১ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে এই দুই দলের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ২-২ গোলের ড্র’য়ে।
শৈশবে বাংলাদেশকে রুখে দেওয়ার দৃশ্য দেখেছিলেন মঙ্গোলিয়ার টিসেন্ড আইয়ুশ। আজ তিনি পরিণত। নিজ দলের অধিনায়কও। পূর্বসূরীদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে ২১ বছর পর এবার নিজেই রুখে দিলেন লাল-সবুজদের।
গোলের খেলা ফুটবল। কিন্তু লাল-সবুজের ফুটবলে গোলের খরা প্রবল। কান পাতলেই শোনা যায় একটা গোলের জন্য হাপিত্যেশ। কালকের ম্যাচেও একই দৃশ্য দেখলেন সিলেটের হাজার হাজার ফুটবলপাগল দর্শকরা। স্কোরারের অভাবে দুর্দান্ত খেলেও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিক দল। তবে বলা যায় দুর্ভাগ্যও পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের প্রথমার্ধে সুমন রেজার শট লেগেছে ক্রসবারে। এর আগে পরে বেশ কয়েকটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছে জামাল ভূঁইয়া বাহিনীর। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের নতুন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল এক চেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেও গোল আদায় করতে পারেনি। অন্তত হাফ ডজন গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। ফলে জয়হীনই ম্যাচ শেষ করতে হয় তাদের।
পুরো ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই। তবে ভাগ্য সহায় ছিল না তাদের। ম্যাচের ৪১ মিনিটে সুমন রেজার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ৭২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক। দর্শকরা ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন। চার বছর পর নিজেদের মাঠে জামাল ভূঁইয়া বাহিনীর খেলা দেখতে পেরে তাদের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে জামালরা সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা মঙ্গোলিয়ার (১৮৪) বিপক্ষে আধিপত্য দেখালেও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এ আক্ষেপ নিয়েই ঘরে ফিরেছেন সিলেটের ফুটবলপ্রেমীরা।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার লম্বা থ্রো দিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতংক ছড়িয়েছে। প্রথমে ইয়াছিন ও পরে রায়হানের লম্বা থ্রোয়ে ভেঙেছে মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ। বিশেষ করে উইঙ্গার রাকিব হোসেন গতিতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের টপকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে অন্তত তিনবার বক্সে ঢুকে আতংক ছড়িয়েছেন, ফাইনাল পাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু সতীর্থ কেউই সেই পাসে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে মাঠে একটি কুকুর ঢুকে পড়লে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। মিনিট চারেক পর ফের শুরু হয় খেলা।
এই ম্যাচে দুই পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান হাভিয়ের কাবরেরা। বিশ্বনাথ ঘোষ ও বিপলু আহমেদের জায়গায় খেলেছেন রিমন হোসেন ও আতিকুর রহমান ফাহাদ। ৪-১-৪-১ ছকে খেলা বাংলাদেশ দলের আক্রমণভাগে সুমন রেজা, রাকিব ও ইব্রাহিমদের বারবার প্রচেষ্টায় মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ তছনছ হলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি লাল-সবুজের ফুটবলাররা। পুরো ম্যাচ মঙ্গোলিয়া খেলেছে রক্ষণাত্মক কৌশলে। শেষ পর্যন্ত তারা রক্ষণদূর্গ ঠিক রেখে বাংলাদেশকে রুখে জয়ের সমান ড্র নিয়েই দেশে ফিরতে পারছে। এটাই তাদের জন্য আনন্দের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।