মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিন বছর ধরে এক রুপির কয়েন জমাচ্ছিলেন এক যুবক। সেই টাকা দিয়েই কিনে ফেললেন প্রায় আড়াই লাখ রুপির বাইক। ১ রুপির কয়েনের পাহাড় ভ্যানে বোঝাই করে সেই যুবক এলেন বাইকের দোকানে। তামিলনাড়ুর এই যুবকের বাইক কেনার গল্প শুনে বিস্মিত নেটিজেনরা। সালেমের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম ভি বুপাঠি। ২৯ বছর বয়সি বুপাঠি পেশায় একজন কম্পিউটার অপারেটর। তার নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল থেকে তার যা আয় হয়েছিল, তা দিয়েই (বাজাজ ডমিনার ৪০০) মডেলের বাইক কিনলেন তিনি। এত ১ রুপির কয়েন কোথায় পেলেন তিনি? উত্তরে বুপাঠি জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে তার টাকা খুচরো করে নিতেন তিনি। মন্দির, চায়ের দোকান, হোটেল- কোনও জায়গাই বাদ পড়েনি। শেষমেশ ২ লাখ ৬০ হাজার রুপি জমিয়ে বাইকের দোকানে হাজির হন সেই যুবক। তার সাথে ছিলেন চার বন্ধু। কিন্তু এত কয়েন গোনা কি সহজ কথা? সেই কথা ভেবেই দোকানের ম্যানেজার প্রথমে সাফ জানিয়ে দেন, এইভাবে বাইক কেনা যাবে না। কিন্তু বুপাঠির ইচ্ছার কথা ভেবে রাজি হন তিনি। শুরু হয় পাহাড়প্রমাণ কয়েন গোনার কাজ। দোকানের পাঁচ কর্মী এবং বুপাঠি ও তার বন্ধুরা সকলে মিলে টাকা গুনতে শুরু করেন। রাত ৯ টায় শেষ হয় সেই কয়েন গোনা। ১০ ঘণ্টা পরে বুপাঠির হাতে আসে সেই বহু প্রতীক্ষিত বাইক। নতুন বাইক পেয়ে কী বলছেন যুবক? ‘তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইচ্ছে ছিল এই বাইক কেনার। কিন্তু সেই সময়ে এত টাকা ছিল না আমার কাছে। তাই এত দিন ধরে টাকা জমিয়ে বাইক কিনেছি।’ বাইকের দোকানের ম্যানেজার জানিয়েছেন, ‘২ হাজার রুপির নোটে যদি ১ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়, তাহলে শুধুমাত্র টাকা গোনার জন্য আলাদা করে দিতে হয় ১৪০ রুপি। ২ লাখ ৬০ হাজার কয়েন দিলে ভাবুন ব্যাংক কী বলবে?’ কিন্তু পাহাড়-সম এক রুপির কয়েন নিয়ে সেই দোকানে যুবকটি এলেও তাকে বিমুখ করেননি সংশ্লিষ্ট দোকানের ম্যানেজার। যুবকটির বাইকের প্রতি ভালবাসাই মোহিত করেছিল সেই ম্যানেজারকে। জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।