Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী ও খুচরা বিক্রি বন্ধ চায় বিএসএসএফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ৮:৪৭ পিএম

বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে তামাক জাতীয় দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্রদর্শন পুরোপুরি নিষেধ। তবে বিদ্যমান আইনে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আর এ সুযোগে তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে তাদের পণ্যের প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকারন্তরে মূলত পণ্যের প্রসার ঘটাচ্ছে। আর এজন্য বর্তমান আইনের সংশোধন চান বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন (বিএসএসএফ)।

২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এক যৌথ মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মোসাদ্দেক হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোকাদ্দেম হোসেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমনের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আইনী সংশোধনের মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও খুচরা বিক্রয় বন্ধ করার সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বাড়ায়। বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন করলে শিশু ও যুবকরা আকৃষ্ট হয়। বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন বন্ধ হলে তামাক বিক্রয় ও ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মোসাদ্দেক হোসেন স্বপন বলেন, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের সঙ্গে অসংখ্য শ্রমিক জড়িত। তবে এটিও ঠিক যে এই সকল শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির দিকটিও আমাদেরকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। তামাকের কুফল যেহেতু সব দেশেই সর্বজন স্বীকৃত, তাই এটার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। উপরন্তু বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট বা বিড়ির বিক্রি বন্ধ করা গেলে তামাকের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর এজন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করারও জোর দাবি জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ