শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে খাবার স্যালাইনের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডায়রিয়া থেকে সৃষ্ট পানিস্বল্পতার চিকিৎসায় খাবার স্যালাইন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে ডায়রিয়া ছাড়াও অন্যান্য কারণে শরীরে তৈরি হওয়া লবণ ও পানির ঘাটতি পূরণ করতে খাবার স্যালাইনের ব্যবহার বহুল প্রচলিত।
জানেন কি, বাংলাদেশি চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রফিকুল ইসলাম ডায়রিয়া নিরাময়ের জন্য খাবার স্যালাইন (ওরস্যালাইন) আবিষ্কার করেন।
তার আবিষ্কৃত খাবার স্যালাইনকে ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার’ বলে উল্লেখ করেছে দ্য ল্যান্সেট নামক ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল।
হঠাৎ করেই এখন দেশে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। ঘণ্টায় ৬০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআরবিতে। ৬০ বছরের ইতিহাসে আইসিডিডিআরবি একসঙ্গে এতো রোগীর চাপ তারা দেখেনি।
এ সময় সবারই উচিত সচেতন থাকা। তাই জেনে রাখা ভালো খাবার স্যালাইন তৈরির সঠিক উপায়। তাহলে হাতের কাছে না থাকলে ঘরেই দ্রুত তৈরি করে নিতে পারবেন। তার আগে জেনে নিন খাবার স্যালাইন কী কী সমস্যায় খাওয়া হয়-
>> ডায়রিয়া
>> বমি
>> ডায়াবেটিস চিকিৎসায়
>> দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে
>> ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর অতিরিক্ত ঘাময়ালে
>> শরীরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর চেয়ে বেড়ে গেলে
>> শরীর থেকে পানি বের করে দেয় এমন ওষুধ (যেমন, ডাইইউরেটিক্স) সেবন করলে।
কীভাবে খাবার স্যালাইন বানাবেন?
খুব সহজেই মাত্র তিন ধাপে ঘরেই খাবার স্যালাইন তৈরি করতে পারবেন। এজন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে এক লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি নিন। এজন্য অবশ্যই ফুটানো স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি নিতে হবে।
পাত্রের পানিতে আধা চা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ৬ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি খাবার স্যালাইন।
অবশ্যই এই খাবার স্যালাইন ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পান করতে হবে। আর প্যাকেটজাত স্যালাইন একবার তৈরির পর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত পান করতে পারবেন।
সূত্র: সহায়