পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মগবাজার থেকে নিখোঁজ স্কুলশিক্ষক মো. এরশাদ উদ্দিনের (৫১) লাশ পাওয়া গেছে ডেমরা থানা এলাকায়। তিনি মগবাজার বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। গত ২২ মার্চ ডাইরির ৫ পৃষ্ঠা জুড়ে একটি চিরকুট লিখে নিখোঁজ হন তিনি। সেখানে অনেক কথার মধ্যে একটি ছিল, ‘বাবা হিসেবে আমি ব্যর্থ’। ওইদিনই পরিবারের লোকজন হাতিরঝিল থানায় একটি জিডি করেন।
গতকাল রোববার ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, শনিবার আমুলিয়া ইরাম চত্বর সংলগ্ন একটি ঝোঁপ থেকে নিজের জামা দিয়ে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পানির বোতলসহ তার ব্যবহৃত বন্ধ মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে লাশে পাশে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধের খোসাও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, ওই শিক্ষকের বাসা মগবাজার সোনালীবাগ এলাকায়। সেখানে একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২২ মার্চ বাসায় একটি চিরকুট লিখে তারপর তিনি নিখোঁজ হন। চিরিকুটসহ তার পরিবারের লোকজন হাতিরঝিল থানায় নিখোঁজের একটি জিডি করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার রাতে তার লাশ পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল রোববার সেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, মো. এরশাদ উদ্দিন এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। গত ২২ মার্চ রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে স্কুলের অপর এক শিক্ষককে ফোন দিয়ে বলেন যে আমার স্টিলের আলমারির সবকিছু ঠিক আছে। আবারও ৫১ মিনিটের দিকে অন্য আরেকজনকে ফোন দিয়েছিলেন। এরশাদ সাহেবের স্কুলের অনেক দায়িত্ব ছিল, তাদের ফোন দিয়ে সে দায়িত্বগুলো বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। একটি ডাইরিতে শিক্ষক এরশাদের স্বাক্ষর করা ৫ পৃষ্ঠা জুড়ে লেখা একটা চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে অনেক লেখার মধ্যে বারবার তিনি লিখেছেন, আমার স্ত্রী-সন্তানরা খুবই ভাল মানুষ, তাদেরকে সবাই দেখে রাখবেন। এছাড়া আমি বাবা হিসেবে ব্যর্থ।
কাফরুলে মিলল সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার লাশঃ পূর্ব কাফরুল এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশের সাবেক সার্জেন্টের এইচ এম ফরিদ উদ্দীনের (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বোরবার দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
কাফরুল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার পূর্ব কাফরুল এলাকায় নিজ বাড়ির পাঁচতলা থেকে পুলিশের সাবেক সার্জেন্টের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন দোতলায়। পাঁচতলায় এখনও ফ্ল্যাট তৈরি হয়নি। খালি ছাদ ও চারদিকে দেয়াল ছিল। অনেক আগেই তিনি পুলিশের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়েছিলেন।
দেশের বাড়ির জমি-জমা নিয়ে তার বোনদেন সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল। বোনরা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি মামলাও করে। এ বিষয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে তার স্ত্রী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। এ কারণেই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।