Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ইজি’ কাজে ‘বিজি’ দুদক

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২২, ১২:৩৩ এএম

আইনে যা ‘মুখ্য’ প্রয়োগে সেটিই হয়ে যাচ্ছে ‘গৌণ’। যা হওয়া উচিত গোপনে-সেটি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। আইনের প্রায়োগিক দুর্বলতায় ব্যহত হচ্ছে দুর্নীতি দমনের মূল উদ্দেশ্য। যা করার প্রয়োজন নেই সেটি করা হচ্ছে বেশি মাত্রায়। যা করার কথা সেদিকে মনযোগ নেই। অনভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দিয়ে ‘তদারক’ করা হচ্ছে দুর্নীতি মামলার। দুর্নীতি মামলার বিচার দ্রæত নিষ্পত্তি এবং পরিণতি ভোগের আইনগত শূন্যতা পূরণেও মাথা ব্যথা নেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নামক প্রতিষ্ঠানটির। আইনের ভুল প্রয়োগ তো রয়েছেই।

দুদক আইন পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪’র আওতায় ‘দুর্নীতি দমন ব্যুরো’ পরিণত হয় ‘দুর্নীতি দমন কমিশন’এ। পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দুর্নীতিবিরোধী এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্র্যালয়ের অধীন থেকে মুক্ত হয়ে স্বশাসিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। প্রতিষ্ঠানটি আইনগত দিক দিয়ে স্বাধীন হলেও বিধির অভাবে নিষ্ক্রিয় থাকে ৩ বছর। ২০০৭ সালে জরুরি ক্ষমতা বলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দুদককে সক্রিয় করার চেষ্টা চলে। সে সময়কার কার্যক্রম নিয়ে পরে সৃষ্টি হয় আইনি জটিলতা। ওই সময় দায়ের হওয়া বহু মামলার এখনও চ‚ড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। এর মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং ২০০৪ সালের আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে ২০১৩ সালের দুদক আইন প্রথম সংশোধন হয়। কিন্তু এ সংশোধনীতে অযাচিতভাবে দন্ডবিধি কয়েকটি ধারা যুক্ত করে দেয়া হয়। ২০১৪ সালে আরেক দফা সংশোধনীতে সেসব বাদ দেয়া হলেও ত্রুটিমুক্ত হতে পারেনি আইনটি। বিশ্লেষকদের মতে, দুদক আইনের প্রয়োগ ও চর্চা যত বাড়ছে; ততোই বেরিয়ে আসছে আইনটির নানা দুর্বলতা। আইনের ভুল প্রয়োগ, মূল কার্যক্রম এড়িয়ে ‘ইজি কাজে বিজি’ রয়েছে সংস্থাটি।

গৌণ কাজে ব্যস্ত দুদক : দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ১৭ ধারায় ‘কমিশনের কার্যাবলি’ উল্লেখ রয়েছে। এ ধারায় ‘ক’ থেকে ‘ট’ পর্যন্ত ১১টি কাজের কথা বলা হয়েছে। ‘ক’ অনুযায়ী দুদকের এক নম্বর কাজ হচ্ছে, তফসিলে উল্লিখিত অপরাধসমূহের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা’ করা। কমিশনের (ঝ) নম্বর কাজ হচ্ছেÑ আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা এবং তদনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ পেশ করা। আইনের এই শর্ত পূরণকল্পে দুদক গত ২০ মার্চ প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে ২০২০-২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করে। তাতে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন তার দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্ব-উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক টিমগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি ও জনসেবা সংক্রান্ত সফলতা ও সীমাবদ্ধতার দিকগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নযোগ্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে প্রেরণ করেছে। কিন্তু এ কাজটি দুদক কোন আইনের আওতায় করেছে; তার উল্লেখ নেই প্রতিবেদনে। তবে ‘কমিশনের কার্যাবলি’র ‘ট’ নম্বরে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচিত অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন’র কথা উল্লেখ রয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় হয়তো দুদক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা’ প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে প্রতিবছরই পাঠাচ্ছে। কিন্তু দুদকেরই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারি দফতরগুলো দুদকের সুপারিশ প্রতিপালন করছে না। দুদকের কথা শুনছে না।

এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষকদের প্রশ্ন হচ্ছে, যারা দুর্নীতি করছে তারাতো ধর্মের কথাই শুনছে না। দুদকের কথা শুনবে কেন? যে সুপারিশ সরকারি দফতর আমলেই নেয় না সেই কাজটিই দুদক বছরের পর বছর করে যাচ্ছে। কিন্তু কেন করছে? দুদকের কথা সরকারি দফতর না শুনলে কি করা হবেÑ এই মর্মে কোনো আইন, বিধি কিছুই নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন হচ্ছে ‘অ্যাকশন অথরিটি’। সুপারিশ প্রণয়ন অথরিটি নয়। আইনে কেবল প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ পেশের কথা বলা হয়েছে। কোনো সরকারি দফতরের কাছে নয়। দুর্নীতির ‘উৎস অনুসন্ধান’ তো সংবাদ মাধ্যম করেই যাচ্ছে। একই কাজ দুদকও করছে কেন? বিশ্লেষকরা তাই মনে করেন, দুদক যে কাজটি করছে এটি লোক দেখানো। কর্মকর্তাদের সারা বছর কিছু কাজে ব্যতিব্যস্ত রেখে সংস্থাটির মূল কার্যক্রম থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখা। একই সঙ্গে বৃহৎ দুর্নীতিগুলোকে আড়াল করা। ১১টি কার্যক্রমের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান-তদন্ত পরিচালনা করা ছাড়া বাকিগুলো কোনো কাজের কাজ নয়। এসব অহেতুক কাজে কর্মকর্তাদের ব্যস্ত রাখা। তারা মনে করেন, কোন সেক্টরে কি পদ্ধতিতে দুর্নীতি হচ্ছে, এটি অনুসন্ধান-তদন্তেই বেরিয়ে আসতে পারে। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে কর্মকর্তারা তাদের অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনেই উল্লেখ করেন। এর বাইরে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান, দুর্নীতির পদ্ধতি নিয়ে দুদক অকারণ সময়ক্ষেপণ করছে। এক্ষেত্রে আইনে যা আছে তার ভুল প্রয়োগ হচ্ছে।

গণশুনানিও ইতোমধ্যে অকার্যকর এবং অহেতুক কার্যক্রম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। দুদক সক্রিয় রয়েছে; এমনটি বোঝাতে বিগত কমিশন ঢাক-ঢোল অনেক গণশুনানি করে। কিন্তু এসব গণশুনানির আয়োজন করতে গিয়ে গলধঘর্ম হয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তারা। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং গণশুনানিতে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তাদের সমস্যা নিরসনের পরিবর্তে আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এক পর্যায়ে গণশুনানি ফ্লপ করে। ফলো-আপ না থাকা এবং সুফল না পাওয়ায় শেষের দিকে কোনো অভিযোগকারীই পাওয়া যেতো না। দায়িত্বপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তারা অনেকটা ধরে-বেঁধে ‘অভিযোগকারী’ খুঁজে আনতেন।
তদারকিতে অনভিজ্ঞ আমলা : বিশ্লেষকদের মতে, দুদক আইনের প্রায়োগিক দুর্বলতা রয়েছে মারাত্মক। দুর্নীতির অনুসন্ধান-তদন্ত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানহীন ব্যক্তিদের দিয়ে করা হচ্ছে ‘তদারকি’র কাজ। বিশেষ করে যারা ‘মহাপরিচালক’র চেয়ারে বসে আছেন তাদের এ বিষয়ে পূর্বাভিজ্ঞতা নেই। ‘সকল কাজের কাজী’ মনে করা হয় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। তাদের প্রেষণে এনে দুদকে ‘তদারককারী’র দায়িত্ব দেয়া হয়। অনুসন্ধান-তদন্ত ‘সকল কাজের কাজী’ দিয়ে হতে পারে না। এ কাজে দক্ষতা তৈরি করে দুদক। নিবেদিতপ্রাণ দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কাউকে এ দায়িত্ব দেয়ার ফলে আইনের ভুল প্রয়োগ হচ্ছে।

দুর্নীতি দমনে আইনের শূন্যতা নিয়ে ভ্রæক্ষেপ নেই সংস্থাটির। দুর্নীতি মামলার বিচারে পৃথক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল থাকা প্রয়োজন। ‘বিশেষ জজ আদালত’ নামে যেটি রয়েছে সেটি নয়। কারণ বিশেষ আদালতে সব ধরনের মামলার বিচার হচ্ছে। এমন আদালত থাকা দরকার যেখানে শুধু দুদকের মামলা চলবে। এ ধরনের আদালত যে কেবল ৬৪টি জেলায়ই থাকতে হবে-এমন নয়। বিভাগীয় পর্যায়ে আদালত বসালেও চলে। দুর্নীতি মামলার বিচার চলাকালে হাইকোর্টে এসে আটকে যায়। মামলার বিচার এবং তদন্ত আর এগোয় না। এ ক্ষেত্রে একটি পৃথক আপিল ট্রাইব্যুনাল থাকার দরকার। এতে দুর্নীতি মামলার আপিল দ্রæত নিষ্পত্তি হবে। বিগত কমিশনগুলোও দুদক আইনে এ ধরনের ট্রাইব্যুনালের শূন্যতা উপলব্ধি করেনি। বর্তমান কমিশনও হাঁটছে একই পথে।

পরিণতিহীন দুর্নীতি মামলা : দুর্নীতির শাস্তি হলে কি পরিণতি হতে পারে-এমন কোনো দৃষ্টান্ত দুদক স্থাপন করতে পারেনি। একাধিক দুর্নীতি মামলার আসামিও মামলা চলমান অবস্থায় দিব্যি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। দুর্নীতিবাজ যদি রাজনীতিক হোন তাহলে মামলার ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি স্বাভাবিক রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ যদি পদস্থ আমলা হন তাহলে তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো অ্যাকশনেই যাচ্ছে না কমিশন। দুর্নীতিবাজ যদি প্রভাবশালী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হন দুর্নীতি মামলার চার্জশিট দাখিল হলেও তিনি ন্যূনতম সাময়িক বরখাস্তও হচ্ছেন না। তাদে চাকরি, মর্যাদা, সম্মান এবং পদ-পদবিও বহাল থাকছে। মামলা হওয়ার কারণে কোনো পরিণতিই তাকে বহন করতে হচ্ছে না। যা দুর্নীতি প্রতিরোধবিরোধী। পক্ষান্তরে দুর্নীতিবাজ যদি সরকারের ছোটখাটো পদের প্রভাবহীন কর্মচারী-কর্মকর্তা হন তাহলে মামলা রুজু হওয়া মাত্র তিনি বরখাস্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ একই যাত্রায় দুদক ভিন্ন ফল বয়ে আনছে। দুর্নীতি মামলায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলে আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাকে বরখাস্ত করতো। এ বিষয়ে সরকারের সার্কুলারও রয়েছে। সেই সার্কুলারের ভিত্তিতে দুদক ফৌজদারি মামলায় জামিনপ্রাপ্ত নিজস্ব কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করছে। অথচ দুদকের মামলায় অন্যান্য সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জামিন নিয়ে স্বাভাবিক অফিস করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। দুর্নীতি মামলায় খালাস না পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অযোগ্য ঘোষণার মতো কোনো বিষয় নেই। ফলে দুর্নীতি মামলায় দÐপ্রাপ্ত হয়েও অধিকাংশই সাজার বাইরে থাকছেন। যারা আইন নিয়ে কাজ করছেন তারাও এ বিষয়ে নীরব। এটি দুদক আইনের একটি অপূর্ণতা বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, নির্ধারিত সময়ে কোনো অনুসন্ধানই শেষ হচ্ছে না। এটি বিগত কমিশনগুলো যেমন উপলব্ধি করেছে। বর্তমান কমিশনও করছে। এ জন্য কমিশন কেবল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকেই দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনছে। কিন্তু বিধিতে অনুসন্ধানের যে সময়সীমার কথা উল্লেখ রয়েছে সেটি শুধুমাত্র একটি অনুসন্ধান-তদন্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একেকজন কর্মকর্তাকে ১৫ থেকে ৫০টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের পক্ষে তাই বিধি-নির্ধারিত সময়সীমা প্রতিপালন সম্ভব হয় না।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, অনুসন্ধান হবে সুনির্দিষ্ট, সুনির্ধারিত এবং স্বল্প সময়ে। এটি সম্পন্ন করতে হবে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অজান্তে। বাস্তবে দেখা যায়, কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হওয়া মাত্র তলব করা হয় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। এতে মিডিয়া ট্রায়াল হয়। পরে ওই ব্যক্তি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তার সামাজিক মর্যাদাহানির ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণ হয় না। এ জন্য দুদককেও জবাবদিহি করতে হয় না।
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এবং দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মো. মঈদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, দুদকের অনেক কাজই রয়েছে যা দুদক করছে না। অনেক আইনি ক্ষমতা রয়েছে যা দুদক চর্চা করছে না। আবার অনেক কিছুই চর্চা করছে যা দুদকের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে না। অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিরাপদ কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছে সংস্থাটি। বিষয়গুলো ভাবার সময় এসেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ