Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোভিডের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘ককটেল’ টিকায় সায় ইউরোপে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২২, ৪:৫২ পিএম

কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল টিকা নির্মাতা সংস্থা অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা। সম্প্রতি সংস্থার তৈরি ককটেল প্রতিষেধক ডোজ ‘এভুশেল্ড’-কে অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ‘দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি’ (ইএমএ)।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির ওষুধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে সংস্থাটি। এ বার চূড়ান্ত অনুমোদন আদায়ের জন্য এই প্রস্তাব যাবে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে। যা পেলে ২৭ সদস্য-দেশের বাজারে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য আমেরিকার তরফে অনুমোদন পেয়েছে এভুশেল্ড।

প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ বছর পর্যন্ত সকলের জন্যেও এভুশেল্ডের ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ইএমএ। যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তারা তো বটেই, অন্য টিকা নিয়ে যাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে, তারাও অনায়াসে এই টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

কী ভাবে কাজ করে এই টিকা? নির্মাতারা জানান, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের দু’টি আলাদা অংশে সরাসরি হামলা চালায় টিক্সাজেভিম্যাব এবং সিলগাভিমাব নামে এভুশেল্ডের মধ্যে থাকা দু’টি ‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়, কমপক্ষে হাজার পাঁচেক মানুষকে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৭%-এর প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এই ককটেল টিকার কার্যকারিতা প্রায় ছ’মাস পর্যন্ত থাকে বলেও উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। তবে এই পরীক্ষা যাদের উপর চালানো হয় তাদের কোনও দিন কোভিড হয়নি এবং কোনও টিকা বা অন্য কোভিড প্রতিরোধক তারা নেননি বলেই জানায় ইএমএ।

তবে বিশেষজ্ঞেরা প্রশ্ন তুলছেন, যে হেতু ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের আগেই এভুশেল্ডের পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে তাই টিকাটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কি আদৌ কার্যকর হবে? ইএমএ জানিয়েছে যে, অন্য পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রনের বিএ.২ ভেরিয়েন্টের উপর এভুশেল্ডের মূল দুই উপাদন টিক্সাজেভিম্যাব এবং সিলগাভিমাবের প্রভাব খানিকটা দেখা গেলেও বিএ.১ ভেরিয়েন্টের উপর এই দুই অ্যান্টিবডির প্রভাব নগন্য। সূত্র: ডেইলি মেইল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ