Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে পাকিস্তানি তরুণদের উদ্যোগী হতে হবে

স্বাধীনতা দিবসে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

একাত্তরে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ওই দেশের তরুণ প্রজন্ম সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমি আশা করব, পাকিস্তানের যত নতুন প্রজন্ম, যারা ’৭১ এর যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না, তারা এই ব্যাপারে অগ্রসর হয়ে আসবে। পাকিস্তানের উচিত একাত্তরের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া। গতকাল শনিবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু স্মরণে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের তরুণদের যদি নিজেদের বোধোদয় না হয়, তাহলে কিন্তু আরও অপকর্ম করার সম্ভাবনা আছে। সে কারণে আমার আশাবাদ এই দিনে যে, পাকিস্তানিরা স্বেচ্ছায় আমাদের কাছে জাতীয়ভাবে দুঃখপ্রকাশ করবে।

একাত্তরে নিরীহ বাঙালিদের ওপর হত্যাযজ্ঞের পরও ক্ষমা না চাওয়াকে ’খুবই দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে মোমেন বলেন, আমি প্রায়ই বলি, পাকিস্তানিদের লজ্জা পাওয়া উচিত। এই জন্য যে- এত বড় যে নির্যাতন হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, তৎকালীন সময়ে এই যে পাকিস্তানি মিলিটারি জান্তা। পাকিস্তান সরকারের রিপোর্টও বলেছে, অতিরিক্ত নির্যাতন করা হয়েছে। তারা মানবাধিকার লংঘন করেছে। তারা হিউম্যানিটারিয়ান যত ধরনের আইনকানুন, দেশিবিদেশি, সব লংঘন করেছে।

সিমলা চুক্তিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ১৯৫ সেনাকর্মকর্তার বিচারের ‘প্রতিশ্রুতির’ কথাও পাকিস্তানকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ওয়াদা দিয়েছিল সিমলাতে- যারা মানবতাবিরোধী করেছে, সেই ১৯৫ জন, তাদের শাস্তি দেবে। তারা যেন তাদের কথা স্মরণ করে, আমি এটা আশা করব।

ইউক্রেট- রাশিয়া যুদ্ধে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেওয়ায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কোনো প্রভাব পড়বে না। যথা সময়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যেমন ঘর-বাড়ি ছেড়েছিলাম, এখন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও জীবন বাঁচাতে ঘর-বাড়ি ছাড়ছেন। তাই আমরা মানবিক কারণে জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছি। কোনো চাপে পড়ে নয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোনো ধরনের চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেন না। আমরা কোনো চাপের মুখে জাতিসংঘে ভোট দেইনি। যেকোনো ধরনের চাপ আমরা মোকাবিলা করতে পারি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর আসাদ আলম সিয়ামসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ