রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দীপন বিশ্বাস, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে
কক্সবাজারের উখিয়ায় উপকরণ সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে পানচাষিরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে আসছে। অপরদিকে উৎপাদিত পানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে পানচাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন কমতে থাকায় এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অধিকাংশ পরিবার। কৃষকদের দাবি, পানচাষের উপর উন্নত প্রশিক্ষণসহ সহজশর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করা হলে প্রতি মৌসুমে এখানে ২০ কোটি টাকার পান উৎপাদন সম্ভব। এ উপজেলার বৃহত্তর বনভূমির পাহাড়ি এলাকায় পানচাষ হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। আশির দশক থেকে পানের মূল্যবৃদ্ধি পেতে থাকায় এখানকার হতদরিদ্র পরিবারগুলো বাণিজ্যিকভাবে পানচাষ শুরু করে। ২০০০ সাল থেকে গাছপানের পাশাপাশি মিষ্টিপানের চাষাবাদ বৃদ্ধি পেতে থাকায় এখানকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে পান চাষের সাথে জড়িত অধিকাংশ পরিবার। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ উপজেলায় ২৪৭০টি পরিবার পান উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা ও ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচসহ সংসারের যাবতীয় চাহিদাপূরণ করে আসছেন। তন্মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টিপান উৎপাদন করে আসছে ১২০টি পরিবার। বাদ বাকি ২৩৫০টি পরিবার সাঁচী (গাছপান) উৎপাদন করে আসছেন। এসব পানের বরজ থেকে উৎপাদন হয়ে আসছে ৭২০০ বিড়া পান। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। স্থানীয় কৃষকদের তথ্য মতে, বর্তমানে প্রতি মৌসুমে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ কোটি টাকার গাছ ও মিষ্টিপান উৎপাদন হয়ে আসছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থকরী ফসল পান-সুপারি উৎপাদনের সক্ষম উপকূলীয় এলাকা জালিয়াপালং ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের প্রতিটি বসতবাড়িতে পান-সুপারি চাষাবাদ হয়ে আসছে যুগ-যুগ ধরে। সোনারপাড়া গ্রামের পানচাষি মুখলেছুর রহমান (৫৫) জানান, এখানকার উৎপাদিত মিষ্টিপান মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে ঘন-ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে পানের বরজ আক্রান্ত হওয়ায় অধিকাংশ পানচাষি পুঁজি হারিয়ে পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। মনখালী উত্তরপাড়া গ্রামের ছমিউদ্দিন (৩৮) জানান, তার পূর্ব পুরুষের আদিপেশা হিসেবে পান চাষাবাদের সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে জমিজমার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মহল পানচাষের উপযোগী জায়গাগুলোর পাহাড় কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করায় পান চাষাবাদের জমিজমা হারিয়ে অনেকেই দেউলিয়া বনে গেছেন। তাই তারা এখন পান চাষাবাদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।