মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট ডেট্রিক সামরিক ঘাঁটি ও ইউক্রেনসহ সারা বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ৩০০টিরও বেশি জৈব ল্যাবে আসলে কি চলছে? মার্কিন ইতিহাসবিদ জেফ্র এস কায়ে সম্প্রতি চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সেসব স্থানে গোপন জৈবাস্ত্র প্রকল্প চালাচ্ছে বলে আমি মনে করি’। এই ইতিহাসবিদ দীর্ঘকাল ধরে কোরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। অবসরে যাওয়ার আগে তিনি তার মানসিক ক্লিনিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নির্যাতনের শিকারদের সাহায্য করেছেন। তার রচিত ‘কাভার আপ এট গুয়ানতানামো’ বইয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রকাশিত দলিল প্রমাণ করেছে, কোরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জৈব অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাস্তবতা আড়াল করতে চেয়েছিল এবং ‘জৈব অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি’ অনুযায়ী তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আসছে।
ইউক্রেনসহ নানা দেশে যুক্তরাস্ট্রের জৈব পরীক্ষাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, সে সব পরীক্ষাগারে অনেক গোপন তথ্য রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘর্ষ শুরুর পর ইউক্রেনের জৈব পরীক্ষাগারের সংশ্লিষ্ট দলিল ধ্বংস ও স্থানান্তর করা হয়েছে। মার্কিন সরকার হয়ত বলতে পারে যে, বিদেশে তাদের জৈব পরীক্ষাগারের প্রধান কাজ ছিল বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বর্তমান প্রাণীর হুমকি মোকাবিলা করা। তবে বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের জৈব অস্ত্র পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা করেছেন যারা, তারা জানেন, সে পরীক্ষাগারের গবেষণা প্রতিরক্ষার নয়, হামলার জন্য।
তিনি বলেন, “কোরীয় যুদ্ধের ইতিহাস তদন্তের সময় আমি বহু বার লক্ষ্য করেছি, জৈব অস্ত্র গবেষণা কথিত ‘প্রতিরক্ষামূলক জৈব অস্ত্র গবেষণা’র অজুহাতে পরিচালিত হয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কি আড়াল করতে চায়? তা সঠিকভাবে আমরা জানি না। তবে আমরা জানি যে, যুক্তরাষ্ট্র কিসের বিরোধিতা করে। দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্র “জৈব অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি’-এর অধীনে তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা গঠনের বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছামতো তৎপরতা চালাতে পারে এবং তা নিরীক্ষা করা যায় না। সূত্র: সিআরআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।