যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
কলকাতায় সোনালী ব্যাংক থেকে ১৪ লাখ রুপি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চাকরি গেছে পাঁচ ভারতীয় নাগরিকের। গত ৮ মার্চ তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
চাকরি হারানো ব্যাংকের পাঁচ কর্মী হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন আলী, এসকে সৈকত রহমান, মুনির হোসাইন, জাবেদ ইকবাল ও সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
সূত্রের খবর, সোনালী ব্যাংকের জেনারেল অডিট করার সময় এ আর্থিক দুর্নীতি সামনে আসে। এর আগে, ২০২০ সালে ৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রথম সামনে এলেও বিষয়টি তখনকার মতো ধামাচাপা দেওয়া হয়। পরে চলতি বছরের অডিট চলার সময় বিষয়টি ফের সামনে এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপে গঠন করা হয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি । সেখানে দেখা যায়, সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে তা অন্য একটি ভুয়া অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়ছে। গোটা দুর্নীতি প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের বেশ কিছু কর্মীর যুক্ত থাকার প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মচারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় তদন্ত কমিটি ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রয়োজনীয় নথি পেশ করতে না পারায় ব্যাংকের ৫ কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বরখাস্ত হওয়া পাঁচ কর্মচারী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলে জানা গেছে।
কলকাতাস্থিত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রওশন জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আমরা তিন জুনিয়র ম্যানেজমেন্ট গ্রেড স্কেল ওয়ান পর্যায়ের অফিসার, একজন মিডল ম্যানেজমেন্ট গ্রেড স্কেল টু ও স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লার্ককে চাকরিচ্যুত করেছি। তারা পাঁচজনই ভারতীয় নাগরিক। এ মুহূর্তে ব্যাংকের অডিট প্রক্রিয়া চলমান। বিষয়টি এখন অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি থেকে থানা এবং আদালতের মধ্যে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থার মধ্যে চলে গেছে। এই অবস্থায় সংবাদমাধ্যমের সামনে নতুন করে কিছু বলা উচিত হবে না।
কলকাতার সোনালী ব্যাংকের শাখা মূলত ভারতীয় আইসিআইসিআই ব্যাংকের সহায়তায় স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতায় কাজ করে। যার নিত্যদিনের লেনদেনের হিসাব বাংলাদেশে ব্যাংকের প্রধান শাখায় পাঠাতে হয়। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটে বিষয়টি ধরা পড়লে ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান শাখায় অভিযোগ জানানো হয়। পাশাপাশি ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও অভিযোগ জানানো হয়। এছাড়া নিউমার্কেট থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।