পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’ এখন জাতীয় স্লোগান। স্বাধীনতার মাসে স্লোগানটির এমন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি উদযাপন করতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জয় বাংলা উৎসব। সম্প্রতি এ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার উৎসবটি আয়োজন করা হয়েছে দোহারে।
২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় দোহার এর জয়পাড়া বড়মাঠে আয়োজিত এ উৎসবে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সালমান এফ রহমান। উৎসবে আরো উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান চিত্রগ্রাহক, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ-এর সংরক্ষণকারী, একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব আমজাদ আলী।
উৎসবে স্বাগত ভাষণে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে, শ্রেষ্ঠ সংসদীয় আসন হিসেবে তিনি এ এলাকাকে গড়ে তুলছেন। করোনা মহামাহারির সময় অক্লান্ত চেষ্টা করেছেন তার আসনের জনগণ যেন আক্রান্ত না হন, সুস্থ্য থাকেন। আক্রান্তদের সুস্থতায় তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। পদ্মার ভাঙন থেকে আমাদের রক্ষা করতে বাঁধ স্থাপনসহ একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করছেন। জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার জন্য আমরা গর্বিত।”
তার বক্তব্যের পর সংবর্ধনা দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের সংরক্ষণকারী দোহারের কৃতি সন্তান আমজাদ আলীকে। সালমান এফ রহমান তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
প্রতিক্রিয়ায় আমজাদ আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমি রেকর্ড করি এবং জীবনবাজী রেখে তা সংরক্ষণ করে এই দোহারের মজিদ দারোগার বাড়িতে সংরক্ষণ করি। ওইদিন যদি আমরা ভাষণটি সংরক্ষণ না করতাম তাহলে নতুন প্রজন্ম কিছুই বুঝতে পারতেন না বঙ্গবন্ধু কী বলেছিলেন, কী করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এমন কিছু বাকি রাখেননি বলার, যা যা বলা দরকার সবই বলে গেছেন। এমন একটি বড় আয়োজনে আমাকে সম্মানিত করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
উৎসবে সালমান এফ রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলার গুরুত্ব সম্পর্কে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমি কথা দিয়েছিলাম দোহার-নবাবগঞ্জকে বাংলাদেশের মডেল উপজেলায় পরিণত করবো। ইন শা আল্লাহ সেদিকেই আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই, বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে তার কারণ দেশটা স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছেন। একটা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশকে তিনি যখন ঠিক করছিলেন তখন তাকে আমরা হারালাম।
তারপর দীর্ঘ ২১ বছর তারপর যারা দেশ পরিচালনা করেছেন- আমরা যে গরীব দেশ, সারাজীবন গরীব থাকবো সেভাবেই দেশ পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশটা আবার পরিবর্তনের দিকে গেল। আজ বাংলাদেশকে কেউ গরীব দেশ বলছে না। আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়েও বেশি। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সুশাসনের কারণে।”
তিনি আরো বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর সাতই মার্চের ভাষণ যারা শুনতো বা জয় বাংলা বলতো তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কিন্তু সাতই মার্চের এ ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগানই আমাদের স্বাধীনতার মূলভিত্তি। যদি দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলাকে মন থেকে বিশ্বাস করতে হবে’।
সালমান এফ রহমানের বক্তব্যের পর তাকে ফুলের শুভেচ্ছা ও নানা স্মারক উপহারে সংবর্ধিত করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগ ও দোহার উপজেলার নানা স্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘শুধু জয় বাংলা স্লোগানের জন্য নয়, দোহারবাসীকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য সালমান এফ রহমানকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই’।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে বর্ণিল করতে নানা আয়োজনের পাশাপাশি এতে নৃত্য পরিবেশন করেন পূর্ণিমা, ফেরদৌস, নীরব, তমা মির্জা। সংগীত পরিবেশন করেন তাপস এন্ড ফ্রেন্ডস, ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ এবং নগর বাউল-জেমস ও খ্যাতনামা শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে গানবাংলা টেলিভিশন। ইভেন্ট পার্টনার ছিল ওয়ান মোর জিরো কমুনিকেশন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।