গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিশ্ব পানি দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পেপসিকো’র জনসেবামূলক সংস্থা পেপসিকো ফাউন্ডেশন এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে দেশের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, কক্সবাজারের বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকাবাসীদের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য বিভিন্ন দেশিয় পানি সরবরাহকারী উদ্যোক্তারা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পটি সফলতার সাথে সমাজের প্রায় ১৩,০০০-এর অধিক মানুষ এবং ১,২০০ এর বেশি সুবিধাবঞ্চিত পরিবারে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছে।
এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় পরিচালিত হয়েছিল যেখানে অধিকাংশ পানির উৎসে আর্সেনিক ও আয়রনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফলে, উক্ত এলাকার মানুষজন পানির জন্য অগভীর কূয়া ও পুকুরের উপর নির্ভরশীল ছিল, যা নিরাপদ পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে যথেষ্ঠ ছিল না। এসব এলাকায় নারীদের পানি সংগ্রহ করতে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে হত, যার জন্য তাদের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা কমে যায় এবং অনেকেই স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের দোরগোড়ায় নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পেপসিকো ফাউন্ডেশন এবং ব্র্যাকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিকট কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে নিরাপদ পানি ও হাত ধোঁয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্র্যাক-এর কমিউনিকেবল ডিজিজ, হিউম্যানিটেরিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর সিনিয়র ডিরেক্টর মো: আকরামুল ইসলাম বলেন, “স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য বিশুদ্ধ পানি অত্যাবশ্যক। পেপসিকো ফাউন্ডেশনের সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টায়, কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার অসহায় মানুষদের কাছে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করতে পেরে আমরা উচ্ছসিত। সেইসাথে ব্র্যাকের পানি উদ্যোক্তাদেরও আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
পেপসিকো বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার দেবাশীষ দেব বলেন, “উইনিং উইথ পেপ+ ভিশনের অংশ হিসেবে, পেপসিকো তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে টেকসই এবং ব্যবহার উপযোগী সমাধান নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রদায়গুলোকে পানির সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং বিতরণে সফলভাবে সহায়তা করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে পেপসিকো ফাউন্ডেশন এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৬৮ মিলিয়নের বেশি মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দিয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটি ১০০ মিলিয়নে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা বাড়ানো পেপসিকো’র পেপ+ পরিকল্পনার একটি অংশ। এর লক্ষ্য হচ্ছে মানুষ ও পৃথিবীর কল্যাণে কাজ করা। একইসাথে পেপসিকো’কে একটি দ্রুত উন্নয়নশীল এবং দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে সাহায্য করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।