গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করুন। মহিলা আনজুমানের উদ্যোগ আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা নেত্রীরা এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন, মহিলা আনজুমানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
আলোচক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন যারা পবিত্র কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
আরো উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর। যারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি। যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরী হয়েছে মানবিক সঙ্কট।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১ (১) অনুচ্ছেদে অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে।
আধুনিক যুগে তাই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। পর্দানশীন মহিলাদের ছবি তোলার পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।