বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক কোন কর্তৃত্ব বলে চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। গতকাল (বুধবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেছে বলে জানিছেন ওই আইনজীবী। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী রিয়াজুল হক ইতোপূর্বে ২০১০ ও ২০১৩ সালে কমিশনের সদস্য ছিলেন। চলতি বছর ২২ জুন থেকে তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। অথচ ২০০৭ সালের মানবাধিকার কমিশন আইনের ২ (এইচ) ও ৬(৩) ধারা অনুযায়ী দু’বারের বেশি নিয়োগ হলে তা অবৈধ। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কারণ ২ (এইচ) ধারা অনুযায়ী মেম্বার অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ মেম্বার। আর ৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান প্রতি টার্ম ৩ বছরের জন্য নিয়োগ হবে, তবে টার্মের বেশি নিয়োগ দেয়া যাবে না। এই পদটিতে আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, কমিশন আইনের ৬(২) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হতে হবে। কিন্তু তিনি আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় পদে ছিলেন না। এ পদটি আধা-বিচার বিভাগীয় ভারতসহ অন্যান্য দেশে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ওই পদটি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের বিচারপতির সমতুল্য। অথচ সংবিধান অনুযায়ী ১০ বছর আইনজীবী অথবা বিচারক থাকা ব্যতীত এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ সব যুক্তি দেখিয়ে ২৬ অক্টোবর তাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ধরে নিয়েছি তার ওই পদে থাকার আইনগত ভিত্তি নেই।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর রিয়াজুল হক কিছু কাল বার কাউন্সিলের ‘লিগ্যাল এডুকেশন অ্যান্ড টেইনিং ইনস্টিটিউট’র নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আসেন মানবাধিকার কমিশনে। চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য ছিলেন। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি আপিল বিভাগের একজন বিচারকের সমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।