পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন জীবন অচল, তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি যা জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য।
আগামীকাল মঙ্গলবার ‘বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পানি দিবস ২০২২ পালিত হবে। বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ,দৃশ্যমান প্রভাব’। এই প্রথম সারাদেশে ডিসিদের মাধ্যমে পানি দিবস পালিত হবে। পানি দিবস উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সব মিলে এবার থেকে পানি দিবস পালন করতে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমীকাল সকাল সাড়ে ১০টার সময় পানি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। বিশ্বপানি দিবস পালনের জন্য ইতোমধ্যে সারাদেশের ডিসিদের অনুকুলে ৩১ লাখে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দের দেওয়া হয়েছে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
অন্যদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশের ৭টি বিভাগীয় শহর এবং ৬৪ জেলা ও উপজেলায় এবার পানি দিবস পালিত হবে। এ জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এই প্রথম জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী সভায় বিশ্ব পানি দিবস-২০২২ উদযাপন সংক্রান্ত উপ কমিটির প্রস্তুতিতে সন্তোশ প্রকাশ করেন। সবাইকে বিশ্ব পানি দিবস উদযাপনে স্ব স্ব অবস্থান হতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান। একইসাথে দিবসে মন্ত্রণালয় ও এর অধিনস্ত সংস্থার কার্যবলী তুলে ধরার নির্দেশ দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিষ্ঠা, সততা ও সাহসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এক অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থানের স্থপতি শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নন,আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে ইতিমধ্যে বিশ্বজনমত ও নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বিশ্ব পানি দিবস-২০২২ এর উদযাপন উপ কমিটির পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বলা হয়, উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের নদীগুলো একে একে মরতে শুরু করেছে। নদীর তলদেশ ভরে উঠে প্রায় সব নদীই হয়ে পড়েছে পানিশূন্য। অযত্ম আর অবহেলায় নদী মরে যাওয়ায় সুফল তো মিলছেই নয় উল্টো দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণে আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে দেশের ছোট বড় মিলে তিন শতাধিক নদী। তিস্তার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে না রংপুর অঞ্চলের মানুষ। তিস্তার ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার বিষয়টির সমাধান হয়নি আজও। তার ওপর নদীভাঙনে প্রতিবছর নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো পরিবার। পানিশূন্যই নয়, হয়ে যাচ্ছে জবরদখল। এক সময়ের খরস্রোতা নদীগুলোর কলকল ধ্বনি আর রং-বেরংয়ের পালতোলা নৌকার সেই দৃশ্য এখন শুধুই স্মৃতি। আর দেখা যায় না।
সভায় পানি ও নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিচর্যার মাধ্যমে নদী গুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নদীর গভীরতা আর পানির প্রবাহ বজায় রাখা গেলে এ দুটি নদী বিশাল সম্পদে পরিণত হতে পারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি ও টেকসই উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল, তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। এ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে জনগণের মধ্যে প্রকৃতি, পানি ও জলবায়ুবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সভায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মিজানুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফজলুর রশিদ, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. দেলওয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধিনস্থ সংস্থার কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।