মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই সমীহ করেন তাকে। আন্তর্জাতিক নীতির কিংবা কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মতবিরোধ থাকলেও শি জিনপিং ও তার চীনকে হালকা চোখে দেখতে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাই তো রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি নিয়ে আলোচনার জন্য সরাসরি চীনা প্রেসিডেন্টকে ভিডিও কল করেন বাইডেন।
উহানের ল্যাবে করোনাভাইরাসের জৈব সংস্করণ থেকে অরুণাচলপ্রদেশে ভারতীয় সেনার উপর হামলা। একাধিক বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে চীনা প্রেসিডেন্টের নাম। তা সত্ত্বেও তাকে 'ইগনোর' করতে পারে না ভারত। তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলেই। প্রেসিডেন্টের রোজগারই বা কত? কত সম্পত্তি রয়েছে শি জিনপিংয়ের? উৎসুক সাধারণ মানুষ।
২০১৩ সাল থেকে চীনা রাষ্ট্রপ্রধানের পদে রয়েছেন শি জিনপিং। মসনদে থাকার পাশাপাশিই তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকও। দেশের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনেরও মাথা তিনিই। ২০২২ সালের হিসাব বলছে, বর্তমানে চীনা প্রেসিডেন্ট মোট ১.২ বিলিয়ন ডলারের মালিক। অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর তার রোজগার ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৭ কোটি টাকারও বেশি। মাসিক আয়ও চমকে দেয়ার মতোই। প্রতি মাসে ২২ হাজার মার্কিন ডলার রোজগার তার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়াও শি জিনপিংয়ের একটি বিলাসবহুল লিমুজিন গাড়ি রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।
১৯৫৩ সালে বেইজিং-এ জন্মগ্রহণ করেন শি জিনপিং। কি জিং এবং শি জংজুনের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যানের সন্তান হওয়ার সুবাদে শি জিনপিং ছেলেবেলা থেকেই দেশেরসরকারি ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। কিন্তু, শি ১০ বছরে পা দিতেই তার বাবা চীনা কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বিতাড়িত হন। ছেলেবেলাটা মোটেই ভালো কাটেনি শি জিনপিংয়ের। ১৯৬৬ সালে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জেরে হাইস্কুলের মাঝপথেই পড়াশোনা থামিয়ে দিতে হয় তাকে। এরপর ১৯৬৮ সালে তাকে বাবাকে কারাবাসের নির্দেশ দেয় সরকার। শিকে বাধ্য হয় তখন গ্রামে চাষাবাদের কাজে হাত লাগাতে হয়।
বাবা কারারুদ্ধ হওয়ার পর মাথার উপর থেকে যেন ছাদ চলে যায় গোটা পরিবারের। যদিও শেষ পর্যন্ত ১৯৭৪ সালে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্নপূরণ হয় শিয়ের। কলেজ জীবনেই কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে শি ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন এবং দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট করেন। বাবার এক সহকর্মীর কাছে সহকারীর কাজ করতেন শি জিনপিং। ১৮৮২ সালে শিকে পাঠানো হল জেংডিংয়ের কাউন্টিতে। সেখানে তাকে ডেপুটি পার্টি সেক্রেটারির পদ সামলাতে হয়। ১৯৯৯ সালে ফুজিয়ানের ভাইজ গভর্নর পদে বসেন শি। পরে গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে ১৬তম কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে সাংঘাইতে পার্টি সেক্রেটারি পদে বসেন।
এরপর ২০০২ সাল। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হলেন শি জিপিং। ক্রমশ কদর বাড়তে শুরু করল তার। উলকার গতিতে উত্থান হল জিনপিংয়ের। এরপর সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের জেনারেল পদেও বসানো হল তাকে। ২০১৩ সালের ৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন। মাত্র তিনটি ভোট তার বিরুদ্ধে পড়েছিল। আমৃত্যু চীনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকার যোগাত্য অর্জন করে ফেলেছেন শি জিনপিং। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।