Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদে অলিকের সিনেমা গলুইঃ পারবে কি দর্শকের মন ভেজাতে?

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ১২:০৮ এএম

বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন হতাশায় নিমজ্জিত। দর্শকও হতাশার মধ্যে। এমন একটা ধারণা জন্মেছে, আশা জাগানিয়া সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না। কেউ এসে যে এমন একটি বা একাধিক দেখার মতো সিনেমা নির্মাণ করে দর্শকের হতাশা কাটিয়ে তুলে বলবে, সিনেমাটি দেখুন, ভালো লাগবে, উপভোগ করবেন, এমন আশার কথা শোনানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না। সিনেমা নির্মিত হচ্ছে ঠিকই, তবে দর্শকের মনে সেসব সিনেমা সম্পর্কে আগেই হতাশা সৃষ্টি করে। আগাম বলে দেয়, এ আর কি সিনেমা হবে! এই যে তাদের এমন হতাশা তা দূর করার মতো কোনো সিনেমা হচ্ছে না। তবে এমন হতাশার মধ্যেও টানেলের শেষ প্রান্তে আশার আলো হয়ে আছে একটি সিনেমা। সিনেমাটি এস এ হক অলিকের ‘গলুই’। বলা বাহুল্য, তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। হৃদয় ছোঁয়া গল্প, প্রাণে লেগে থাকা গান, অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত লোকেশনে শুটিং এবং চরিত্রকে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া তার সিনেমার মূল বৈশিষ্ট্য। দর্শক মুগ্ধ হয়ে তার সিনেমা দেখেন। তার সেই ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমা থেকে শুরু। প্রথম সিনেমা দিয়েই তিনি দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছিলেন। এই সিনেমার গানের শুটিং প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে বিরল ও অপূর্ব লোকেশনে শুটিং করে চলচ্চিত্রের গানের চিত্রায়ণের ধারা তিনি বদলে দিয়েছিলেন। মনোমুগ্ধকর লোকেশনের সাথে গানের অপূর্ব সুর-লহরী দর্শকের দৃষ্টি ও মনকে বিগলিত করেছিল। ফলে তার সিনেমা দর্শকের আগ্রহ ও অপেক্ষায় থাকার বিষয়টি সৃষ্টি করতে পেরেছে। দর্শকের এই আগ্রহের অবসান হতে যাচ্ছে আগামী ঈদে। মুক্তি পাচ্ছে, ‘গলুই’। বহুল প্রচলিত প্রায় লুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার নৌকার ‘গলুই’ শব্দটিকে তিনি নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে করে পরিচয় করে দিতে যাচ্ছেন। এমন একটি নামের সিনেমার গল্পের প্রেক্ষাপটও ভিন্ন হবে, এমন আশা করাই যায়। খোঁজ-খবর নিয়ে যতদূর জানা যায়, প্রচলিত ধরার সিনেমার গল্পকে পাশ কাটিয়ে সিনেমাটির গল্প তৈরি হয়েছে। সিনেমাটি করতে গিয়ে অলিক প্রচুর শ্রম দিয়েছেন। নানা বাধা-বিঘ্ন, প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। আপস করেননি। তার এই শ্রম ও সাধনার ফল যে গলুইতে পাওয়া যাবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। হতাশা থেকে বের হয়ে দর্শক আশাবাদী হতে পারেন। অলিকও আশাবাদী। বলেছেন, সিনেমাটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হলেও এর সাথে আরও অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। শুধু সরকারি অনুদানে এমন বড় পরিকল্পনা ও গল্পের প্রেক্ষাপট পর্দায় তুলে ধরা সম্ভব নয়। ফলে এর নির্মাণ খরচও অনেক গুণে বেড়েছে। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ভাই খরচ করতে কার্পণ্য করেননি। যেখানে যা প্রয়োজন হয়েছে, তাতেই তিনি সম্মতি দিয়েছেন। এতে আমি আমার স্বাধীন মতো সিনেমাটি নির্মাণ করতে পেরেছি। মেধার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, দর্শকের সামনে একটি উপভোগ্য সিনেমা তুলে ধরতে। অলিকের কথা থেকে বোঝা যায়, সিনেমার চরম মন্দাবস্থা কিংবা মরুকরণ পরিস্থিতিতে ‘গলুই’ এক পসলা বৃষ্টি হয়ে দর্শকের মন ভেজাতে কিংবা রাঙাতে সক্ষম হবে। সিনেমাটি আগামী ঈদে মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যে মুক্তির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন, শাকিব খান ও পূজা চেরি। শাকিব ও পূজার বয়সের ব্যবধান অনেক হলেও অলিক কিভাবে তাদের সমন্বয় করেছেন, তা এক রহস্য বটে। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করতে হলে সিনেমাটি দেখতে হবে। নিশ্চয়ই এখানে গল্পের কোনো মোচড় রয়েছে। যদিও অলিক বলেছেন, গলুই সহজ ও সরল প্রেমের গল্প। দেখার বিষয় হচ্ছে, এই সরল গল্প কোথায় গিয়ে গরল হয়ে উঠে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি করে। সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, সমু চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদে অলিকের সিনেমা গলুইঃ পারবে কি দর্শকের মন ভেজাতে?
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ