প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
তৃতীয় সংসার জীবনও ভালো যাচ্ছে না কণ্ঠশিল্পী ন্যানসির। সংসার জীবনের ৭ মাসে ন্যানসির উপলব্ধি হতাশাব্যঞ্জক। তার মনে হচ্ছে হুট করে এ বিয়ে না করাই তার জন্য ভালো ছিলো। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন ন্যানসি। আর সেখানেই সংসার জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি।
ন্যানসি লিখেছেন, ‘আমার দুই ভাই, ভাবী ও রোদেলা বাদে দু-পরিবারের কোনো সদস্যের নতুন অতিথির আগমনের সংবাদে নেই কোনো উচ্ছ্বাস। উল্টো রয়েছে বিদ্রূপ মেশানো হতাশা। সেই সাথে নতুন অতিথির আগমনের সংবাদে অর্থ বা সম্পদ বণ্টনে কে কী পাবে আর কী হারাবে— সেসব নিয়ে রয়েছে চুলচেরা হিসাব! আমি নিজেও যেন ভাবতে বসলাম, আচমকাই গোলকধাঁধায় পড়ে গেলাম। মনে হলো, স্বস্তি খুঁজতে গিয়ে অশান্তিকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এলাম। বিয়েটা না করলেই বরং প্রাণে না হলেও জানে বেঁচে থাকতাম।
এ সময় তিনি জানান, নতুন সন্তান জন্ম পৃথিবীতে আসা নিয়ে তার ভেতর ভীতি কাজ করছে। ন্যানসি লিখেছেন, ‘আমার আর মেহেদীর সংসার জীবনের বয়স সাত মাস। এদিকে আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমাদের দুজনের জন্যই নতুন করে অল্প দিনের পরিচয়ে একজন আরেকজনের জীবনসঙ্গী হবার সিদ্ধান্তটুকু নেওয়া কঠিন ছিল। এরইমধ্যে একটি নতুন প্রাণের জন্ম দেওয়া যেন আনন্দের চাইতেও দ্বিগুণ ভীতি।’
জীবনের অতীত টেনে ন্যানসি আরও লিখেছেন, ‘দুজনই ভালোবেসে যার হাত ধরেছিলাম সেটা যেকোনো কারণেই হোক, শেষ পর্যন্ত টেকাতে পারিনি। জীবন চলায় ব্যর্থতার তকমা কপালে জুটেছে। এখন দুজন দুজনের কাছে ভালোবাসার পাত্র-পাত্রী হবার চাইতেও আস্থার হয়ে ওঠাটাই যেন বড় পরীক্ষা! আর প্রতিদিনকার জীবনযাপন করবার প্রক্রিয়া দুজনের এতটাই ভিন্ন যে, সেটা রপ্ত করাটাও বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। খাওয়া, ঘুমানো আর আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করবার ভঙ্গি, নিত্যদিনের কথা বলা, মত প্রকাশ, গান শোনা, সিনেমা দেখা, ঘুরতে যাওয়া, কাছে আসা— এর সবই যেন নতুন করে শেখবার বিষয়। মনে হলো অল্প দিনেই বেশ হাঁপিয়ে উঠেছি।’
ন্যানসি জানান, আগের সংসারে সন্তানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তিনি লেখেন, ‘পূর্বের সংসারে সন্তান যেহেতু আছে, কাজেই তাদের সাথে যোগাযোগও আছে। সন্তানদের কারণে উভয়ের জীবনেই প্রাক্তনদের উপস্থিতি আছে। সেটা উভয়ের সবসময় মন থেকে সহজভাবে মেনে নেওয়াটা কঠিন। এ যেন শেষ হয়েও হলো না শেষ। তার ওপর হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমাদের চাইতেও আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নাটকীয় উদ্বেগ অন্য অনেকের যেন উথলে উঠছে।’
বড় মেয়ে রোদেলার প্রশংসা করে ন্যানসি লিখেছেন, ‘ব্যতিক্রম আমার বড় মেয়ে রোদেলা। দিনশেষে সে, সবাই যার যার মতো করে সুখে আছে এটাই দেখতে চায়। এ কারণে বেচারিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট নোংরা মন্তব্যেরও মুখোমুখি হতে হয়। আমার রোদেলা! সন্তানের চাইতেও বেশি যে আমার জীবনে মায়ের রূপে এসেছে। আজ আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু বলতে রোদেলাই আছে এবং থাকবে জানি।’
গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে গীতিকার মহসীন মেহেদীকে বিয়ে করেন ন্যানসি। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। মহসীন মেহেদীর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল ন্যানসির। একটি অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন তিনি।
এর আগে গত ২০০৬ সালে ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ন্যানসি। কিন্তু সেই সংসার জীবনে ২০১২ সালের ২৪ মে ইতি টানেন তিনি। সেই সংসারে জন্ম নেয় মেয়ে রোদেলা। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নাজিমুজ্জামান জায়েদকে বিয়ে করেন গায়িকা। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিলে গায়িকা জানান জায়েদের সঙ্গে একসঙ্গে থাকছেন না তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।