Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেছে নিতে হবে রাজপথ নয়তো জেলখানা : নেতাকর্মীদের গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২২, ৭:০৪ পিএম | আপডেট : ৮:১৭ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২২

সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য একটাই পথ খোলা আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এখন একটাই পথ, হয় জেলখানা, না হয় রাজপথ। আমরা ভয়ে জেলেও যামু না, রাজপথেও থাকুম না, তাহলে আমাদের মুক্তিও আসবে না। আমরা যদি কোনোটাতেই না থাকি তাহলে কাপুরুষের মতো মরতে হবে। যে মৃত্যু ইতিহাসের পাতায় কোনো সম্মান পাবে না। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি নেতাকর্মীসহ সকলকে বলব, হয় মরব, না হয় জেলে থাকি, না হলে আমরা রাজপথে থাকি। এই দেশটা আমাদের, এ দেশের নাগরিক এ দেশের মালিক দেশের মালিকানাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করে তারা জেলখানায় গেলে সম্মান নষ্ট হয় না। কেউ কেউ বলেন আমরা ভালো থাকতে চাই। ভালো যদি থাকতে পারতাম তাহলে প্রতিদিন মিটিং-মিছিল করতাম না। এ দেশে ভালো থাকার উপায় নেই। একটা ফ্যাসিবাদী সরকার অস্ত্রের জোরে মসনদে বসে আছে, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আশা করি, আমরা বীরের জাতি। আমরা গর্বিত জিয়াউর রহমানের দলে আমরা সবাই যোদ্ধা।

দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে সরকার দেশটাকে ‘করদ রাজ্যে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি এই নেতা।

তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তারা বৃহত্তম দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক সেটা তারা চায় না। কয়েকদিন দেখা যায় বিজেপির নেতা আসছে দেশে। ভারতের হাইকমিশনার তো প্রায়ই আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বসেন। মানে একজন হাইকমিশনারের কাজ হচ্ছে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তারা ডিনার করেন, কিন্তু অন্য দলের সঙ্গে তাদের কথা বলতেও দেখা যায় না। তার মানে বোঝা যায় আওয়ামী লীগ দেশের দল নয়। তা নাহলে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য পাশের দেশ থেকে নেতা এসে কর্মী সভা করে কেন? অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তো তারা সৌজন্য সাক্ষাৎও করে না। খালেদা জিয়া অসুস্থ আছে অনেক দিন ধরে দেখেছেন প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূত এসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে গেছেন তার সঙ্গে?

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, তারা তো শুধু দেশটাকে শেষ করছে না। তারা দেশের সবকিছু শেষ করে ফেলছে। মানুষের যে অধিকার সেটা তারা বিশ্বাসই করে না। বরং মানুষের অধিকার হরণ করছে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য জনগণ নয়। জনগণের টাকা লুটপাট করা। সেই সম্পদ সামাল দিতে পারছে না বলেই বিদেশে পাচার করছে।

সংগঠনের আহবায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুবদলের শরীফ হোসেনসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ