নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ব্যর্থতা নিয়ে আবারও কড়া সামলোচনা করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। টাইগারদের কোচিং প্যানেলের প্রধান ডমিঙ্গোর ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কানাঘুষা আছে। কিন্তু কোন ক্রিকেটার মুখ খুলে বলতে পারেনা। বিসিবিও তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নন।
দেশ সেরা সফল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, ডমিঙ্গোকে নিয়ে অসন্তোষ আছে খেলোয়াড়দের মধ্যেও। মাশরাফি তার নেতৃত্বের ইতি টেনেছিলেন ডমিঙ্গোর আমলে। ডমিঙ্গো কোচ হয়ে আসার পর মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলা হয়েছে সফল এই পেসারের। সেই তিন ম্যাচই ছিল জাতীয় দলে তার শেষ পদচারণ।
এই ৩ ম্যাচের অভিজ্ঞতা ছাড়াও দেশের ক্রিকেটের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ডমিঙ্গোর কার্যক্রম ভালো করেই পরখ করা হয়েছে মাশরাফির। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ডমিঙ্গোকে ভালো কোচ হিসেবে মূল্যায়ন করার সুযোগ দেখছেন না ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’খ্যাত এই ক্রিকেটার। তিনি মনে করেন, ডমিঙ্গোর অধীনে দল যেমন অবিশ্বাস্য কিছু সাফল্য পেয়েছে, ঠিক একইভাবে দৃষ্টিকটু ব্যর্থতাও এসেছে এই কোচের সময়ে।
বৃহস্পদিবার দুপুরে মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ রূপগঞ্জের হয়ে অনুশীলন শেষে মাশরাফি বলেন,‘দল যখন সফল হবে অবশ্যই সেটা তার কৃতিত্ব। আমি মাত্র তিনটা ম্যাচে ওর সাথে কাজ করেছি, তাই কথা বলার সুযোগ কম। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি সেই দায়টাও তাকে নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ এখানে (মিরপুরে) হেরেছি যেগুলো হারার কথা ছিল না। নিউজিল্যান্ডে যে টেস্ট জিতেছি সেটা আমাদের জেতার কথা ছিল না। এরকমও আছে।’
ডমিঙ্গোর অধীনে বাংলাদেশ হেরেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও। আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির নজির। হোম অব ক্রিকেট মাঠ মিরপুরেও অনেক ব্যর্থতা আছে। এসব ব্যর্থতার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই ডমিঙ্গোর। তবে ডমিঙ্গোর সাফল্যের পাল্লা ভারি করতে এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
মাশরাফি বলেন,‘আমরা ঘরের মাঠে যেসব ম্যাচ হেরেছি, শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ… অনেক কিছুই আছে। আমি মনে করি এখন পর্যন্ত ওর পারফরম্যান্স খারাপের দিকেই বেশি। দেখা যাক, দক্ষিণ আফ্রিকায় যদি এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করে আসে… ওর সংস্কৃতি, ও পরিবেশ সম্পর্কে জানে, উইকেট সম্পর্কে জানে। আশা করছি ও একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। সেটা করতে পারলে খুবই ভালো হবে।’
বাংলাদেশের গুরু হিসেবে আলোচিত-সমালোচিত এই কোচের ব্যর্থতার পাল্লাই বেশি। দল নিয়ে ডমিঙ্গোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাইয়ের মানসিকতার কঠোর সমালোচনাও করেছেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘দেখা যাক সামনে কতদূর থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ওর ব্যর্থতার পাল্লাটা বেশি। বাংলাদেশ দল এখন ঐ সময়ে নেই যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এখন বাংলাদেশের সমর্থকরা সফলতা চায়। আপনারাও সফলতা চান। ক্রিকেট বোর্ডও সফলতা চায়। সেখানে নতুন কোচ এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জায়গা না। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন পারফরম্যান্স দেওয়ার সময়। ওয়ানডে ক্রিকেটে কিন্তু সব মিলিয়ে ৬-৭ বছর ধরে ভালো পারফর্ম করে আসছে। অন্যান্য ফরম্যাটেও একই অবস্থা।’
ডমিঙ্গো কোচ হিসেবে থাকলে খেলোয়াড়দের মধ্যেও অসন্তোষ থাকছে। ড্রেসিংরুমেও কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ থাকছে কি না, আছে সেই সন্দেহও। এ বিষয়ে মাশরাফির বক্তব্য,‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড়দের তাকে নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। প্রথম যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে, আপনার ড্রেসিংরুম হ্যাপি থাকা। সেটা যদি থেকে থাকে দ্যাটস ফাইন। আমার কাছে মনে হয়নি সেটা (ড্রেসিংরুম হ্যাপি) । এজন্য খোলা মনে বলেছি সেটা। রাসেল ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাফল্যের পাল্লা বেশি ভারী নয়। যেটা স্টিভ রোডস বাদ যাওয়ার পরও তার ছিল। একেক কোচের কাছে একেক রকম। বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে খুব ভালো। এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।