মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বক্স অফিসে সফল বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। কাশ্মীর থেকে কাশ্মীর পন্ডিতদের নির্বাসনের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তৈরি এই ছবি। 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' দেখে একদিকে যেমন আপ্লুত হিন্দুত্ববাদীরা, তেমনই অন্যদিকে এই ছবিকে বিজেপির উদ্দেশ্যমূলক প্রচার হিসাবেও সমালোচনা করেছেন অনেকে।
ভারতের চারটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই করমুক্ত করা হয়েছে এই ছবি। মঙ্গলবারই কলকাতার বিজেপি বিধায়করা দলবেঁধে সিনেমাহলে দেখতে গিয়েছিলেন এই ছবি। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ ও আসামে এই ছবি দেখার জন্য ছুটিও ঘোষণা করেছে সরকার। এমনকি সম্প্রতি ছবিটি দেখেছেন প্রধানমন্ত্রীও মোদিও। ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
সম্প্রতি এই ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'সব জায়গায় কাশ্মীর ফাইলস ছবির চর্চ্চা চলছে। আর যারা সিনেমার ধ্বজাধারী হয়ে ঘোরে তাদের মাথা ঘুরে গেছে। তথ্য আর আর্টের উপর তৈরি এই ছবির প্রশংসা না করে ছবিটিকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেউ যদি সত্যি ঘটনা তুলে আনার সাহস দেখাচ্ছে কিন্তু সেই সত্যি মেনে নেওয়ার সাহস নেই, সেই সত্যি সকলে জানুক তা মেনে নেওয়ার সাহস নেই, তাই বিগত ৪-৫ দিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে। সত্য ঘটনা তুলে আনা সবসময় দেশের পক্ষে হিতকর। তার অনেক দিক থাকতে পারে। যার মনে হয়েছে এই সিনেমায় ভুল দেখানো হয়েছে সে আরেকটা সিনেমা বানাক।’
প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও টুইট করে বলিউডের আরেক পরিচালক বিনোদ কাপরি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি গুজরাট দাঙ্গার উপর ‘গুজরাট ফাইলস’ নামে একটি ছবি বানাতে চান। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, সেই ছবি কি মুক্তি পাবে? বিনোদ কাপ্রি তার প্রথম টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘তথ্য ও শিল্পের উপর ভিত্তি করে গুজরাট ফাইলস নামে একটি ছবি তৈরি করতে আমি প্রস্তুত এবং এই ঘটনায় আপনার ভূমিকাও বিশদভাবে উল্লেখ করা হবে। আজ দেশের সামনে আমাকে আশ্বস্ত করবেন নরেন্দ্র মোদিজি যে আপনি ছবির মুক্তি আটকে দেবেন না?’
দ্বিতীয় টুইটে পরিচালক বিনোদ কাপরি লেখেন, ‘আমার প্রথম টুইটের পর কিছু প্রযোজকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। তারা গুজরাট ফাইলস তৈরি করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী এখন যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলছেন, সেটা যে পরেও থাকবে এই নিশ্চয়তা প্রয়োজন।’ বিনোদ কাপ্রির টুইটে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। ধীরে ধীরে ভাইরাল হয়ে যায় টুইটটি।
উল্রেখ্য, ২০০২ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় গুজরাটে দুহাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন মুসলিম। ওই ভয়াবহ দাঙ্গার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের এখনকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাঙ্গা ও মুসলিম হত্যার জন্য সে সময় তার ভূমিকাকে দায়ী করেন অনেকে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতে মুসলিমদের উপরে সহিংসতা ও নির্যাতন বাড়ছে। সূত্র: জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।