নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আছে স্মরণীয় দুই জয়। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তাদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডেও বাংলাদেশের কাছে ধরাশায়ী হয় তারা। ঘরের মাঠেও তাই প্রতিপক্ষ নিয়ে ভীষণ সতর্ক টেম্বা বাভুমার দল।
এমনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলোতে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ খারাপ। কোন সংস্করণেই আসেনি কোন জয়। ওখানকার কন্ডিশনেও প্রতিবারই ভুগতে হয়েছিল বিস্তর। তবে এসব রেকর্ডে মন নেই লুঙ্গি এনগিদির। প্রোটিয়া এই পেসার ফিরে গেলেন আড়াই বছর আগে। লন্ডনের ওভালে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২১ রানে হারিয়ে দেয় প্রোটিয়াদের। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ৩০৯ রানে আটকে যায় তারা।
সেই ম্যাচে এনগিদি ৪ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশ‚ন্য। সৌম্য সরকার (৩০ বলে ৪২) তাকে শুরুতেই সেদিন করে দেন এলোমেলো। পরে সাকিব আল হাসান (৭৫), মুশফিকুর রহিমের (৭৮) ব্যাটে বড় পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। দলের অনুশীলন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকে এনগিদি জানান তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই এবার অতি সতর্ক থাকবেন তারা, ‘আমরা এই সিরিজ নিয়ে বরং বেশিই মনঃসংযোগ দিচ্ছি। বাংলাদেশ আমাদের হারিয়েছে। আমারও নিজেকে প্রমাণ করার আছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তারা আমাদের থেকে ভালো ছিল। অন্য যেকোনো দলের মতই তাদের বিপক্ষে আমাদের নিখুঁত থাকতে হবে।’ ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ হওয়ায় তিন ম্যাচের সবগুলোই গুরুত্বপ‚র্ণ। উপরের দিকে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে তাই মরিয়া প্রোটিয়ারা, ‘আমাদের ফোকাস হচ্ছে বিশ্বকাপ। আমাদের প্রপার ক্রিকেট খেলতে হবে। একদম নিখুঁত থাকতে হবে।’
আগামীকাল সেঞ্চুরিয়নে শুরু হবে দুদলের প্রথম ওয়ানডে, ২০ মার্চ জোহেন্সবার্গে দ্বিতীয় এবং ২৩ মার্চ ফের সেঞ্চুরিয়নে শেষ ম্যাচ। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পার করে অনেকদিন পর এই সিরিজ দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে দর্শক প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে সেই সংখ্যাটা অতি সামান্য। সব মিলিয়ে কেবল ২ হাজার দর্শক মাঠে আসার অনুমতি পাচ্ছেন। তাতেই অবশ্য নিজেদের তেতে উঠার বারুদ দেখছেন এনগিদি, ‘এটা দারুণ ব্যাপার যে শুক্রবার কিছু দর্শক থাকবে। এটা অনেক বড় তফাৎ করে দেয় (দর্শক থাকা না থাকা)। মানুষের মধ্যে খেলতে আমি পছন্দ করি। এটা আনন্দ দেয়, এনার্জি লেভেলও বাড়িয়ে দেয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।