নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রতিবেশী দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই বৈরী, রাজনৈতিক গÐি পেরিয়ে যা বছরের পর বছর ধরে প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটেসহ অন্য সবকিছুতেই। চিরবৈরী এই দুই প্রতিবেশী দেশ আবারও কবে ক্রিকেটে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হবে, তা এক বড় গবেষণার বিষয়। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান কখনোই মুখোমুখি হয়নি।
২০১২ সালে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে একটি ওয়ানডে সিরিজ খেললেও ২০০৫-০৬ মৌসুমের পর ভারত আর কখনোই পাকিস্তানে যায়নি। ২০১২ সালে ভারতে হওয়া সেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
এরপর বেশ কয়েকবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সম্ভাবনা তৈরি হলেও আলোর মুখ দেখেনি। দুই দলের ম্যাচ দেখতে চেয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টের জন্য। এই দুদলের ম্যাচ যে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে কতটা আরাধ্য, সেটার সবশেষ প্রমাণ দেখা গিয়েছিল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২৪ অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেবার একে-অপরের মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ম্যাচের টিকিট ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যায়।
ভারত-পাকিস্তান সিরিজের জন্য ভারত আগ্রহী না হলেও, কিছুদিন পর পর কোনো না কোনো পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটারকে আক্ষেপ করতে শোনা যায়। যে তালিকায় আছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থেকে শুরু করে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা, সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক ও জাভেদ মিয়াঁদাদ, অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি, ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার, উইকেটকিপার রশিদ লতিফ। রমিজ তো পিসিবির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছের কথাটা নিয়মিতই বলে থাকেন। তবে দুদেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখা রমিজ নিজেও জানেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব নয়। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক না হোক, ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে তিন বা চারজাতির সিরিজ আয়োজন করা তো যেতেই পারে!
গত অক্টোবরে দুবাইতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) এক সভায় অংশ নিয়েছিলেন রমিজ। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এবং সচিব জয় শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তোলেন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বিষয়টা। কিন্তু কথা বলেই বুঝতে পারেন, এখনই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এখনো অনেক কাজ করা বাকি। সম্পর্ক উন্নয়নের আগে দুই দেশের মধ্যে সিরিজ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা সেবার দেখেননি পিসিবি চেয়ারম্যান। তাই বলে শুধু আইসিসি আয়োজিত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ছাড়া পরম আরাধ্য এ দ্বৈরথ দেখা যাবে না, মানতে পারছেন না তিনি। বিসিসিআই সভাপতি গাঙ্গুলীর সঙ্গে কথা বলে ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে অন্তত চারজাতির একটা সিরিজ আয়োজন করতে চাইছেন রমিজ, ‘আমি চার জাতির টুর্নামেন্টটা গিয়ে গাঙ্গুলীর সঙ্গে কথা বলব। ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হলো এমন ত্রিদেশীয় কিংবা চার জাতির সিরিজগুলো। বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দ্বিপক্ষিয় সিরিজ থেকে মানুষের চোখ সরিয়ে নিচ্ছে।’
ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে ম্যাচ না খেলে সমর্থকদের আশা প‚রণ করছে না, যা রমিজের কাছে ন্যায্য বলে মনে হচ্ছে না, ‘আমার মনে হয় সমর্থকরা যে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ চায়, সেটা তাঁদের না দিয়ে আমরা তাঁদের সঙ্গে অবিচার করছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, এক দিনেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।’
রমিজের মতো অরাজনৈতিক একজন সাবেক ক্রিকেটার ভারতের বোর্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এ ব্যাপারটাই আশাবাদী করে তুলছে পিসিবি চেয়ারম্যানকে, ‘আমরা রাজনীতির চোখ দিয়ে ব্যাপারগুলো দেখি না, আর আমার মতোই আরেকজন ক্রিকেটার যেহেতু ওদের বোর্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আমার মনে হয় এ নিয়ে কথা বলাই যায়, যেহেতু আমরা কেউই রাজনীতি বুঝি না।’
চারদেশীয় টুর্নামেন্টটা কীভাবে আয়োজিত হতে পারে, সেটারও একটা ধারণ দিয়েছেন রমিজ, ‘আমাদের নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। আমার মনে হয় আমরা এই টুর্নামেন্টের জন্য আলাদা একজন প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত করতে পারি। প্রতি বছর ১৫ দিনের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে, একেক দেশ একেকবার আয়োজনের দায়িত্ব নেবে। সিরিজের লভ্যাংশ ওই চার বোর্ড ভাগাভাগি করে নেবে। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চাচ্ছি না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।