গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভ্রূণ হত্যা ও হত্যার হুমকির অভিযোগে পুলিশ সদর দফতরের সাপ্লাই শাখার এআইজি (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে এক নারী মামলা দায়ের করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে গত মঙ্গলবার ওই নারী মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল বুধবার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজু হাওলাদার পলাশ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশ সদর দফর থেকেও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এর বাইরে কিছু বলা ঠিক হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ওই নারীর ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। তারা আগস্ট মাসে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না। তাকে বিয়ে করলে তিনি স্ত্রীকে তালাক দেবেন। ওই নারী প্রথমে তার প্রস্তাব নাকচ করেন। এরপর মহিউদ্দিন ফারুকী তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকী হঠাৎ করে ওই নারীর বাসায় যান। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে তিনি বাসায় যাতায়াত করেন। ৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর জন্মদিনে মহিউদ্দিন ফারুকী তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করান। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন। পরে ১৭ মার্চ ওই নারী তাকে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ার কথা জানান।
এজাহারে অভিযোগ করে বলা হয়, ওই নারী চিকিৎসক দেখালে তাকে ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন ফারুকী তার জন্য কিছু ওষুধ নিয়ে আসেন। ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেটের কথা বলে সেগুলো ওই নারীকে খাওয়ান। রাতে তার পেটে ব্যথা হয়। পরদিন সকালে এসে মহিউদ্দিন ফারুকী আবার তাকে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। পরে মহিউদ্দিন ফারুকী অকপটে স্বীকার করেন, ওষুধগুলো গর্ভপাতের ওষুধ।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও অন্তঃস্বত্তা হয়েছেন বলে জানতে পারেন। ২৮ এপ্রিল সে তথ্য জানান মহিউদ্দিন ফারুকীকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন মহিউদ্দিন ফারুকী। ওই নারী তাকে বিয়ে করতে বলেন। না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান। পরে ৬ জুন তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।