বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কির্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে বরিশাল মহানগরী সংলগ্ন চরবাড়িয়া ও চরকাউয়া এলাকায় ৩৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর পক্ষে খুলনা শিপইয়ার্ড ছাড়াও ৭টি নির্মান প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড ৩.৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ তীর রক্ষা কাজের প্রায় ৮০ ভাগ এবং অপর ৭টি প্যাকেজে বেসরকারী নির্মান প্রতিষ্ঠানগুলো ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।
এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীর উত্তর প্রান্ত থেকে উত্তর-পূর্ব প্রান্তে ৪ কিলোমিটার এলাকার নদী তীর রক্ষায় খুলনা শিপইয়ার্ড ২০৯ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বেলতলা খেয়াঘাট থেকে চরবাড়ীয়ার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রায় শেষের পথে। ভাঙন কবলিত ঐসব এলাকায় জেগে ওঠা বিশাল চর অপসারন করে কির্তনখোলার গতিপথ পরিবর্তন করতে ৫.৬০ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। এলক্ষ্যে কির্তনখোলায় ২৯ লাখ ৪৩ হাজার কিউবিক মিটার পলি অপসারন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় যে ১২ লাখ ২০ হাজার বিভিন্ন মাপের সিসি ব্লক কির্তনখোলা তীরে ফেলার কথা, তার মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ তৈরী সম্পন্ন করে ৪ লাখের মত প্লেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এছঅড়াও প্রকল্প এলাকায় যে পৌনে ৫ লাখ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার কথা তারও প্রায় সোয়া ৪ লাখ তৈরী শেষে ডাম্পিং করা হয়েছে। আপতকালীন যেকোন পরিস্থিতির জন্য অবশিষ্ট ব্যাগগুলো হাতে রাখা হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।
এছাড়া ভাঙন কবলিত বেলতলা খেয়াঘাট এলাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি রক্ষায় ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ শীট পাইলিং-এর কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। তবে রেনৗ বাহিনীল এ প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করলেও এপর্যন্ত ২০৯ কোটি টাকার চুক্তি মূল্যের মাত্র ১১৭ কোটি টাকা পরিশোধ সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে একই প্রকল্পের আওতায় আরো ১৬১ কোটি টাকা ব্যায়ে অবশিষ্ট ৭টি প্যাকেজে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়োজিত নির্মান প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ করেছে। প্রকল্পের আওতায় বরিশাল বন্দরের অপর পাড়ের চরকাউয়া থেকে উত্তরে সাহেবের হাট চ্যানেলের মোহনা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার তীর রক্ষা প্রকল্পে ৯০ ভাগ জিও ব্যাগ ডাম্পিং সহ সিসি ব্লক প্লেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। তবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের আওতায় কোন ড্রেজিং ছিল না। ৮টি প্যাকেজের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বরিশাল বন্দরের অপর পাড় সহ মহানগরীর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব প্রান্তে কির্তনখোলা নদীর ভয়াবহ ভাঙন প্রতিরোথ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল মহল।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ জোনে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত বরিশাল মহানগরী সহ অপর পাড়ের বিশাল এলাকার দীর্ঘদিনের আতংকের অবশান হতে চলেছে। আসন্ন বর্ষার আগেই পুরো প্রকল্পটির কাজ শেষে করে ভাঙন রোধে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি মহানগরীর দক্ষিণ প্রান্তের চাঁদমারী এলাকা এবং অপর পাড়ের চর কাউয়ার আরো কিছু অংশ সহ সন্নিহিত কিছু এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে আরো ৫৩৫ কোটি টাকার একটি ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি’ পানি উন্নয়ন বোর্ডে দাখিল করার কথাও জানান তিনি । প্রস্তাবিত প্রকল্পটির আওতায় ভাঙন রোধে সোয়া ৫ কিলিামাটার নদী তীর এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং সহ ও সিসি ব্লক প্রেসমেন্ট করা হবে। এছাড়াও জেগে ওঠা চর অপসারন করে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙন রোধে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রকল্পটির ব্যাপারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক শামিম অবগত আছেন বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।