মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া অভিবাসীরা নির্বাসন শুনানিতে অংশ নেবে, সেটা নিশ্চিত করতে, কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন একটি স্মার্টফোন অ্যাপের ব্যবহার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে। আইনজীবীরা মনে করছে, এ আবশ্যিক শর্ত আরোপের ফলে তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে তারা মনে করছে যে ছাড়া পেলেও তারা মুক্ত নয়।
স্মার্টলিঙ্ক নামে পরিচিত এই অ্যাপটি বর্তমানে ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি লোক ইনস্টল করতে বাধ্য হয়েছে — তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে আটকে আছে — তবে তিন বছরও আগেও অ্যাপটি ব্যবহার করা লোকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫,০০০ এর মতো অ্যাপটির মাধ্যমে অভিবাসীরা সহজেই একটি সেলফি তুলে কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাতে কিংবা জিজ্ঞাসা করা হলে তাদেরকে ফোন করতে অথবা ফোন রিসিভ করতে পারে।
আমেরিকান সরকার ওই অ্যাপ থেকে সংগৃহীত ডেটা ব্যবহার করে অভিবাসীদের অবস্থান এবং পরিচিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য অন্যদের গ্রেপ্তারও করতে পারে। তবে আইনজীবীরা বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
ল্যাটিনো অধিকার সংস্থা মিজেন্তে-র সিনিয়র প্রচারাভিযান পরিচালক জ্যাসিন্টা গঞ্জালেজ বলেন, “মাত্র কয়েক বছরে এটি এত দ্রæত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি এখন যেভাবে সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে আমরা রীতিমত হতবাক। কারণ, এটি সরকারের পক্ষে বৃহত্তর সংখ্যক লোককে ট্র্যাক করা আরও সহজ করে তুলেছে”।
মহামারী চলাকালীন অনেকগুলি সরকারী পরিষেবা সংস্থা অনলাইনে তাদের কার্যক্রম শুরু করলে, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট অ্যাপটি বহুলাংশে ব্যবহার করা শুরু করে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেসরকারি কারাগারের ব্যবহার রোধ করার জন্য বিচার বিভাগকে আহŸান জানানোর সাথে সাথে এটির ব্যবহার বাড়তে থাকে। অভিবাসন আদালতের শুনানি বা হাজিরায় অভিবাসীদের উপস্থিত থাকা নিশ্চিত করতে, তার প্রশাসন আটকের তথাকথিত বিকল্পগুলির পক্ষেও সমর্থন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের অংশ, ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের কর্মকর্তারা, অ্যাপটি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আটকের বিকল্পগুলি “ডিএইচএস হেফাজত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত অনাগরিকদের ট্র্যাক করার একটি কার্যকর পদ্ধতি, বিশেষ করে যারা অভিবাসনের জন্য অপেক্ষা করছে”।
বেশিরভাগ লোক অভিবাসন আদালতের শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও, কেউ কেউ তা এড়িয়ে যান। এই ক্ষেত্রে, অভিবাসন বিচারক অভিবাসীদের অনুপস্থিতিতে নির্বাসনের আদেশ জারি করেন এবং নির্বাসন এজেন্টদের তাদের খুঁজে বের করার এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদালতের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৮ অর্থবছরে অভিবাসন বিচারকদের মামলার সিদ্ধান্তে প্রায় এক চতুর্থাংশ আদালত মিস করা লোকদের জন্য নির্বাসনের আদেশ ছিল। সূত্র : ভিওএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।