প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রী রূপা দত্তকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন নায়ক অঙ্কুশ হাজরা। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া অঙ্কুশের ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘কেল্লাফতে’ নায়িকা ছিলেন রূপা দত্ত। সেই রূপা-ই কিনা বইমেলা থেকে গ্রেফতার হন পকেটমারের অভিযোগে। তাকে আদালতে তোলা হয় এবং একদিনের জেল হেফাজতও হয়। ওপার বাংলার দর্শকেরা হয়তো ভুলে গেছেন রূপাকে। কিন্তু অঙ্কুশ তার প্রথম ছবির নায়িকাকে ভুলেননি, তবে তখনকার রূপার সঙ্গে এই আটক রূপাকে মেলাতে পারছেন না তিনি। -আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভি
আনন্দবাজারকে অঙ্কুশ বলেন, খুব বেশি বন্ধুত্ব না হলেও কথাবার্তা তো হতই। কথা বলা, হাঁটাচলায় বেশ আভিজাত্য ছিল রূপার। সম্ভবত তিনি ‘কেল্লাফতে’ ছবির একজন প্রযোজকও ছিলেন। টাকা ঢেলেছিলেন ছবিতে। যা জানতাম, স্বচ্ছল পরিবার থেকে এসেছিলেন তিনি। তারপরে বইমেলায় পকেটমারির ঘটনা শুনে চমকে উঠেছি আমি। অঙ্কুশের মতে, কেউ অভাবে চুরি করেন, কেউ আবার স্বভাবে। তার কথায়, ‘রূপার ক্ষেত্রে কোনটা, তা জানি না। এতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১০ সালের পর কোনও যোগাযোগও ছিল না। এমনকি তিনি যে অনুরাগ কশ্যপের নামে ‘অশ্লীলতা’-র অভিযোগ তুলেছিলেন, সে তথ্যও ছিল না আমার কাছে। আকাশ থেকে পড়েছি আমি।
সোমবার দুপুরে অঙ্কুশ একটি পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। যেখানে ‘কেল্লাফতে’ ছবির একটি গানের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সমুদ্রের জলে নাচছেন অঙ্কুশ-রূপা। যেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মনে পড়ে প্রথম ছবির কথা। তখন আমার টাকাও ছিল না, তাই মানিব্যাগও ছিল না।’ পাশে হ্যাশট্যাগে ‘থ্যাঙ্ক গড’ (ভাগ্যিস) লেখা। নেটিজেনরা যেন শূন্যস্থান পূরণের মতো মন্তব্য বাক্সে লিখলেন, ‘বেঁচে গেছ দাদা’। অঙ্কুশ অবশ্য আনন্দবাজারকে বললেন, সেই সময়ে সত্যিই আমার কাছে কোনও টাকা থাকত না। বাবা যে ১০০-১৫০ টাকা দিত, তা প্যান্টের পকেটে রেখে দিতাম। শুটিংয়ে পৌঁছে গেলে তো বাকি খরচ প্রোডাকশনেরই। সে কথাই লিখেছি। আলাদা করে কাউকে নিয়ে মস্করা করিনি। যদিও তার নেটিজেনরা ধরেই নিয়েছেন, রূপার গ্রেফতার হওয়ার পরেই আচমকা এই পোস্ট দেওয়ার অর্থ, তিনি তার প্রথম নায়িকাকে নিয়েই ঠাট্টা করলেন। কিন্তু সে বিষয়ে অঙ্কুশ কোনও মন্তব্য করলেন না।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। হঠাৎ সেই সময় পুলিশ দেখতে পায় যে, এক নারী ডাস্টবিনের মধ্যে একটি ব্যাগ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। কেন কেউ হঠাৎ করে ডাস্টবিনে নিজের ব্যাগ ফেলে দেবেন? সঙ্গে সঙ্গে ওই তার পথ আটকায় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন তিনি ওই ব্যাগ ফেলে দিয়ে সেখান থেকে চলে যাচ্ছেন? আর এভাবে ব্যাগ ফেলে দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন তিনি? তবে এই সব প্রশ্নের কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এতে সন্দেহজনকভাবে তাকে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি নিজেকে বলিউড অভিনেত্রী বলে দাবি করেন। যদিও তার কাছ থেকে একাধিক মানিব্যাগ, নগদ টাকা, একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। তা থেকে পুলিশ জানতে পারে, কবে, কোথা থেকে কত টাকা তিনি হাতিয়েছেন (pickpocketing)। সেখানে বইমেলা ছাড়াও কলকাতার অনেক জনবহুল এলাকার নাম পাওয়া যায়। এমনকি ওই ডায়েরিতে খরচের বিবরণ দেওয়া রয়েছে।
কলকাতা পুলিশের ভাষ্য, তিনি অভিনেত্রী হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন মেলায় বড়ো হাইফাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন। ওইভাবেই জনবহুল জায়গায় ঘুরে ঘুরে পকেট কাটতেন তিনি। তার ব্যাগ থেকে শনিবার প্রায় ৭৫ হাজার রুপি উদ্ধার হয় সেদিন। গোটা ঘটনার কথা জানতেই হতভম্ব হয়ে যায় পুলিশ। পাশাপাশি একজন অভিনেত্রী যে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন তা ভাবতেই পারছেন না পুলিশ কর্তারা। এছাড়া তার কাছ থেকে যে ডায়েরিতে সব হিসেব রয়েছে। যা থেকে পুলিশের ধারণা, কোনও বড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রূপা দত্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।