পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রোডম্যাপ করার জন্য সমাজের বিশিষ্টজন ও নিবদ্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংলাপ আয়োজনের শুরুতেই হোচট খেয়েছে ইসি। শিক্ষাবিদদের সাথে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে গতকাল ইসির সংলাপ পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের সংলাপেই আমন্ত্রিত ৩০ জন শিক্ষাবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে ভালো নির্বাচন করা দুরূহ হয়ে পড়বে। অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। আগামী নির্বাচন যেন অধিক অংশগ্রহণমূলক হয়, প্রকৃত অংশীদারত্বমূলক হয়- সে লক্ষ্যে কমিশন সবার মতামত নিচ্ছে। সংলাপে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশনের অবস্থান, আস্থা অর্জন, দক্ষতা অর্জন, ভোটারদের সচেতনতা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ দেন আলোচকরা।
সিইসি বলেন, আমি প্রথম দিকে বলেছি, ভালো ইলেকশন করাটা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। স্টেকহোল্ডার যারা আছেন তারা যদি সমানভাবে না আসেন, পলিটিক্যাল ক্লাইমেট, নির্বাচনে রাজনৈতিক আবহ যদি অনুক‚ল না হয়, দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি সমঝোতা না থাকে, পক্ষগুলো বিবাদমান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের পক্ষে ভালোভাবে নির্বাচন করাটা দুরূহ হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দলকে দেখছি তারা কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিচ্ছে না। তারা যদি নির্বাচন থেকে দূরে থাকে তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব না। তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় কিছুটা ভাটা পড়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করব, আমাদের তরফ থেকে যত্ম করার জন্যে। আপনারা (সাংবাদিক) সহযোগিতা করবেন।
ইসির সংলাপে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, লায়লুফার ইয়াসমিন, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান।
ইভিএম লো লেভেলের টেকনোলজি: জাফর ইকবাল
সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এটি নাকি অনেক হাই লেভেলের টেকনোলজি। কিন্তু আসলে তা নয়। এটার টেকনোলজি খুবই লো লেভেলের। এখন তো অনেক হাইটেক জিনিসপত্র আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইভিএম নিয়ে প্রজেক্ট করে।
নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যত ভালো কাজই করেন, গালি খেতেই হবে। গালি নিয়ে ভাববেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে যেন বলতে পারেন, আমি কাজটা ঠিকমতো করতে পেরেছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ বিদেশে থাকেন। তারাও দেশ নিয়ে ভাবেন। তারা কীভাবে ভোট দিতে পারেন সেটা দেখতে হবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল হচ্ছে। এটার জন্য অনেকে অনেক টাকা খরচ করেও সমাধান পাচ্ছেন না। কমিশন এটা দেখলে ও সমস্যার সমাধান করলে একটা পজিটিভ ইমপ্রেশন পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।