মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কারণ সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ার তেলে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া পশ্চিমাবিশ্ব মস্কোর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি ইস্যুতে রাশিয়ার বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বের কোন কোন দেশ সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে। জানা গেছে, তেল উৎপাদনে বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ওপেক। এটি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি সংগঠন। এটি ১৩টি দেশ নিয়ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৮০ শতাংশ প্রাকৃতিক তেলের (প্রভেন ক্রুয়েড অয়েল) মজুত রয়েছে সংস্থাটির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কাছে। তবে ওপেকের সদস্য না হয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় তেলের একটি বড় অংশ মজুত রয়েছে। বিশ্ব ক্রুয়েড অয়েলের ৪০ শতাংশ ও মোট পেট্রোলিয়ামের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে ওপেক। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে দৈনিকভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এসময় দৈনিক ১৮ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট ২০ শতাংশ। এরপরই সউদী আরবের অবস্থান। এটি উৎপাদন করে ১০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের মোট ১২ শতাংশ। ১০ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন করে রাশিয়ার অবস্থান তৃতীয়, যা বিশ্বের মোট ১১ শতাংশ। এরপরই রয়েছে কানাডা ও চীন। দেশ দুটি যথাক্রমে উৎপাদন করে পাঁচ দশমিক ২৩ শতাংশ ও চার দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা বিশ্বের মোট ছয় শতাংশ ও পাঁচ শতাংশ। তাছাড়া ইরাক দৈনিক চার দশমিক ১৬ মিলিয়ন ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত তিন দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ব্যারেল, ব্রাজিল তিন দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ব্যারেল, ইরান তিন দশমিক এক মিলিয়ন ব্যারেল ও কুয়েত দুই দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি জানায়, ২০১৯ সালে বিশ্বে দৈনিক প্রায় ১০ কোটি ব্যারেল তেলের প্রয়োজন হয়েছে। তবে বিশ্ব চাহিদার পাঁচ ভাগের এক ভাগই প্রয়োজন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থাৎ দেশটি দৈনিক দুই কোটি ব্যারেলের বেশি ব্যবহার করেছে। গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।