পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রবর্তিত শান্তির সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আগামী বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তুরস্কের আন্তলিয়ায় আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে ‘এশিয়া এনিউ : ফর সাসটেইনেবল রিজিওনাল গ্রোথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে ড. মোমেন এ আহ্বান জানান বলে শনিবার (১২ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উচ্চ পর্যায়ের এই গোলটেবিলে এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরাও যোগ দেন। ড. মোমেন তার বক্তব্যে কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের নীতি এবং আগামী দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার কীভাবে নীতিমালা বাস্তবায়ন করছে সে বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি সব দেশের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তি নিশ্চিত করার গুরুত্ব এবং লাভজনক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি দক্ষিণ-দক্ষিণ ফোরামের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেন। মোমেন বলেন, এটি করা গেলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর জন্য ধারণা ভাগ করে নেবে এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলোকে প্রচার করবে।
বিশ্বে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংঘাতের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রচারিত শান্তির সংস্কৃতির ধারণাটি তুলে ধরে মোমেন বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি টেকসই ও বাসযোগ্য বিশ্ব উপহার দেওয়ার জন্য পারস্পারিক সহনশীলতা ও সহানুভূতি অতি জরুরি। রোহিঙ্গা সমস্যা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন আঞ্চলিক এ সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।