Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৫২ দশমিক ৩৬ একর জমি দখলমুক্তির রায় পেয়েছে ডিএধনসিসি

প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫২ দশমিক ৩৬ একর জমি দখল মুক্তির রায় পেয়েছে ডিএনসিসি। হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে রাজধানীর গাবতলী গরুর হাট সংলগ্ন অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে এ জমির দখলমুক্তির অনুমতি পেয়েছে ডিএনসিসি। হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি সম্পন্ন করে চূড়ান্ত এ রায় দেন। রায়ে রিটকারীদের মামলা খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে ওই জমিতে আগের জারি করা স্থিতিবস্থাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আদালত। আদালতের চূড়ান্ত রায় এবং স্থিতিবস্থা প্রত্যাহারের ফলে ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযানে এখন আর আইনি কোনো বাধা নেই। ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে জানা গেছে, যে কোনো সময় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আদালতের চূড়ান্ত রায় এবং ¯ি’িতবস্থা প্রত্যাহারের ফলে ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযানে আইনি কোনো বাধা নেই। হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারে।
তিনি বলেন, সরকারি জমিতে বালু আড়ৎ, বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী মহল দখলে রেখেছে। তারা ওই জমিতে দখলদারিত্ব ধরে রাখার জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিল।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, হাইকোর্টের রায় ডিএনসিসির পক্ষে এসেছে। এ রায়ের ফলে ওই জমি উদ্ধারে ডিএনসিসির আইনগত আর কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে মিরপুরের গাবতলীতে ইট, পাথর, বালু আড়ৎ, বহুমুখি সমবায় সমিতির নামে ওই জমি দখলে নেয় স্থানীয় চক্র। ২০০৮ সালে হাইকোর্টে ওই জমির ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য রিট মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেন এবং জমির ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। আদালত দীর্ঘদিন পর শুনানি শেষে গত রোববার ওই রুল খারিজ করেন এবং স্থিতিবস্থা প্রত্যাহার করেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান আরো বলেন, ২০০৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (তৎকালীন) পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে গাবতলীর গরুর হাটের কাছে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ৩০০ প্লট ইট-বালুর আড়ৎ হিসেবে বরাদ্দের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে। সেই অনুযায়ী কিছু ব্যক্তি দরপত্র জমা দেয়। আর দরপত্র সিটি কর্পোরেশন জমা দিয়েই তারা জমি দখলে নিয়ে নেয়। অথচ সিটি কর্পোরেশন তাদেরকে জমি বরাদ্দ দেয়নি।
দখল অবস্থায়ই ২০০৮ সালে গাবতলী, ইট, পাথর, বালু আড়ৎদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সেক্রেটারি মোহাম্মদ নাসিরুল্লাহসহ ১৭৭ জন সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কাছে তারা লিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাবি করেন এবং স্থিতাবস্থার জন্য আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট জমির ওপর উভয়পক্ষকে তিন মাসের জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। একই বছরের ২১ এপ্রিল এই স্থিতিবস্থার মেয়াদ রুল নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন আদালত।
অবশেষে গত রোববার ওই মামলার শুনানি শেষে রুল খারিজ করে স্থিতিবস্থা প্রত্যাহার করে এ রায় দেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৫২ দশমিক ৩৬ একর জমি দখলমুক্তির রায় পেয়েছে ডিএধনসিসি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ