Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন সাড়ে ৩ লাখ পরিবার

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের লাগাতর ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশেব্যাপী ১ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবারহের আওতায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পরিবার টিসিবি’র মাধ্যমে এ সুবিধার আওতায় আসছেন। ইতোমধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠী জেলার গ্রাম থেকে জেলা সদর পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১শ’ পরিবারের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ দক্ষিণাঞ্চলের পৌর এলাকাগুলোর জন্য ৯০ হাজার পরিবার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় গত বছর রমজানেও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার পরিবার এ সুবিধা লাভ করেছিলেন।

সরকারি কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগী পরিবারগুলো চলতি মাসের শেষভাগে এবং আগামী মাসের মধ্যভাগে টিসিবি থেকে ভর্তূকি মূল্যে নির্দিষ্টহারে খাদ্য পণ্যসমূহ পাবেন। এ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলেও ভোজ্যতেল, চিনি, মুসুর ডাল, পেঁয়াজ ছাড়াও খেজুর ও ছোলাবুট সরবারহ করা হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার দফতর থেকে পুরো কর্মসূচিটি সমন্বয় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে তালিকা যাচাই-বাছাই করে জেলা প্রশাসনে পাঠিয়েছেন। জেলা প্রশাসনও সেসব তালিকা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করছে। পাশাপাশি টিসিবি’র সাথেও বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সভা করে কবে কোথায় এসব খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে তার দিনক্ষন ঠিক করছেন। প্রতিটি কর্মকা- বিভাগীয় কমিশনার দফতরকেও অবহিত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনগুলো থেকে উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়সহ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে সরকারি নির্দেশনার আলোকে সুষ্ঠুভাবে খাদ্যপণ্য বিতরণের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করছে। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে খাদ্যপণ্য বিতরণ নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন তাদের দৃড়তার কথাও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরিশালে টিসিবির আঞ্চলিক দফতরের উপ-পরিচালক জানান, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনসহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাথে কথা বলেছি। সরকারি দিক-নির্দেশনার আলোকে ডিলারদের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেয়ার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
এ কর্মসূচির আওতায় বরিশারে ৬৭ হাজার ৮৯৭টি পরিবার, পাটুয়াখালীতে ৬২ হাজার ৭৫৫টি, ভোলাতে ৩৪ হাজার ৬৫৪টি, পিরোজপুরে ৩৪ হাজার ৩৭৩টি, বরগুনাতে ২৮ হাজার ৮৮৭ এবং ঝালকাঠীতে ২১ হাজার ৮৩৬টি পরিবারকে সরকারী ভর্তূকি মূল্যে খাদপণ্য সরবারহের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে এবার বরগুনাতে এ সুবিধাভোগীর সংখ্যা গত বছরের অর্ধেক এবং ঝালকাঠীতে ১০ হাজার হ্রাস করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সরকারি নীতিমালার আওতায় জনসংখ্যার ভিত্তিতেই বিভাজন করা হয়েছে বলে জানান হয়।
সরকারি এ কর্মসূচির আওতায় রোজার আগে ও মাঝে দুবার নির্দিষ্ট কিছু খাদ্য পণ্য ভর্তূকি মূল্যে সরবরাহ করলে বাজারে কিছুটা হলেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশাবাদী বিভিন্ন জেলা প্রশাসন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চলে টিসিবির পণ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ